ইউক্রেন সংকট আরও তীব্র হলে দ্রুততম সময়ে ইউরোপে মোতায়েনের জন্য সাড়ে ৮ হাজার সেনাকে প্রস্তুত রেখেছে যুক্তরাষ্ট্র। এ অবস্থায় ইউক্রেন ইস্যুতে যুক্তরাষ্ট্র কী পদক্ষেপ নেয়, সেদিকে ক্রেমলিন কড়া নজর রাখছে বলে আজ মঙ্গলবার জানিয়েছে রাশিয়া।
বার্তা সংস্থা রয়টার্সের প্রতিবেদনে বলা হয়, ক্রেমলিনের মুখপাত্র দিমিত্রি পেসকভ এক বিবৃতিতে আগের মতোই ইউক্রেন নিয়ে যুক্তরাষ্ট্র উত্তেজনা সৃষ্টি করছে বলে অভিযোগ করেছেন। মস্কোর ভাষ্য হচ্ছে, ইউক্রেন সীমান্তে লাখখানেক সেনা মোতায়েনের মধ্য দিয়ে রাশিয়া নয়, বরং যুক্তরাষ্ট্র ও নেটো সংকট সৃষ্টি করেছে।
সেনা মোতায়েনের খবর পাওয়ার পর থেকেই যুক্তরাষ্ট্রের পরবর্তী পদক্ষেপের দিকে রাশিয়া উদ্বেগ নিয়ে তাকিয়ে আছে বলে জানিয়েছেন পেসকভ। একই সঙ্গে তিনি বলেছেন, যুক্তরাষ্ট্রের সেনা প্রস্তুত রাখার বিষয়টি দুই পক্ষের আলোচনায় কোনো প্রভাব ফেলবে না বলেও মত প্রকাশ করেছেন পেসকভ।
পশ্চিমা দেশগুলোর অভিযোগ, ২০১৪ সালের পর ইউক্রেনে আবার রাশিয়া হামলার পরিকল্পনা করছে। যদিও রাশিয়া এ ধরনের অভিযোগ পুরোপুরি অস্বীকার করেছে। একই সঙ্গে মস্কো বলছে, নেটো জোটে ইউক্রেনকে যুক্ত না করাসহ তাদের বিভিন্ন দাবি যদি না মানা হয়, তবে সামরিক বিকল্পও তারা হয়তো খুঁজে দেখবে। তবে এ বিষয়ে তারা কোনো কিছু স্পষ্ট করে বলেনি।
এদিকে নেটো বলছে, তারা সেনা প্রস্তুত রেখেছে এবং পূর্ব ইউরোপে তারা আরও কিছু যুদ্ধজাহাজ ও যুদ্ধবিমান মোতায়েনের পরিকল্পনা করছে। এই পদক্ষেপের কারণে পশ্চিমা দেশগুলোকে রাশিয়া ‘বিকারগ্রস্ত’ আখ্যা দিয়েছে।
চলমান এ উত্তেজনাকর পরিস্থিতি নিয়ে রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাখোঁর সঙ্গে কথা বলবেন বলে জানিয়েছেন পেসকভ। এদিকে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির সঙ্গে ম্যাখোঁও কথা বলবেন বলে জানিয়েছে রয়টার্স।
বিদ্যমান পরিস্থিতিতে রাশিয়া তাদের নিরাপত্তা সম্পর্কিত বিভিন্ন দাবিতে যুক্তরাষ্ট্রের লিখিত প্রতিক্রিয়ার জন্য অপেক্ষা করছে বলে জানিয়েছেন পেসকভ। যদিও এসব দাবির বেশ কিছু আলাপের সময়ই ওয়াশিংটন নাকচ করে দিয়েছে।