সাম্প্রতিক দিনগুলোতে বেশ উচ্চ তাপমাত্রার মুখোমুখি হয়েছে ইউরোপের দেশগুলো। স্পেনের তাপমাত্রাও বেশ বেড়ে গিয়েছে। এই অবস্থায় বিদ্যুৎ–জ্বালানি সাশ্রয় করতে সরকারি–বেসরকারি কর্মকর্তাদের কর্মস্থলে টাই না পরার আহ্বান জানিয়েছেন স্পেনের প্রধানমন্ত্রী পেদ্রো সানচেজ। ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি নিউজের এক প্রতিবেদন থেকে এই তথ্য জানা গেছে।
স্পেনের প্রধানমন্ত্রী পেদ্রো সানচেজ গত সোমবার জানিয়েছেন, তাঁর সরকার শিগগিরই জ্বালানি সাশ্রয়ে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেবে। যদিও ইউরোপের এই দেশটি রাশিয়ার জ্বালানির ওপর খুব বেশি নির্ভরশীল নয় তারপরও দেশটি বর্তমানে জ্বালানি সংকটে ভুগছে।
স্থানীয় সময় গতকাল শুক্রবার স্পেনের রাজধানী মাদ্রিদে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ৩৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস এবং সেভিলে তাপমাত্রা ছিল ৩৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস। কেবল স্পেনই নয়, ইউরোপের অন্যান্য দেশগুলোও বেশ উচ্চ তাপমাত্রার কারণে ভয়াবহ সংকটের মধ্যে রয়েছে। উচ্চ তাপমাত্রার সঙ্গে আবার বাড়তি বিপদ হিসেবে যুক্ত হয়েছে দাবানল। ফ্রান্স এবং স্পেনে সৃষ্ট দাবানলে এরই মধ্যে পুড়ে গেছে কয়েক হাজার হেক্টর বনাঞ্চল।
মাদ্রিদে এক সংবাদ সম্মেলনে স্পেনের প্রধানমন্ত্রী নিজেকে দেখিয়ে জানান, তিনি টাই পরেননি এবং তিনি চান তাঁর মন্ত্রীরা এবং সরকারি–বেসরকারি কর্মকর্তা–কর্মচারীর টাই না পরুক। তিনি বলেন, ‘টাই না পরার অর্থ হলো, আমরা সবাই মিলে জ্বালানি সাশ্রয় করছি।’
পেদ্রো সানচেজ বলেন, এই পদক্ষেপ নিশ্চিত করবে যে—গরমেও লোকজন শীতল থাকবে এবং গরম কমাতে জ্বালানি খরচ কমবে কারণ এয়ার কন্ডিশনারগুলো কম ব্যবহার করা হবে। এই পদক্ষেপ স্পেনেই প্রথম নয়। ২০১১ সালে জাপান ‘সুপার কুল বিজ’ নামে এক ক্যাম্পেইন চালিয়েছিল। ওই ক্যাম্পেইনে কর্মস্থলে কর্মীদের গ্রীষ্মকালে শরীর ঠান্ডা রাখতে সহায়তা করে এমন পোশাক পরতে উৎসাহিত করেছিল