রুশ বাহিনীর গোলার আঘাতে ইউক্রেনের সেভেরোদনেৎস্ক শহরের একটি রাসায়নিক কারখানায় আগুন লেগেছে। সেখানে প্রচণ্ড যুদ্ধ চলছে। কারখানার ভেতরে আটকা পড়েছেন অন্তত ৮০০ বেসামরিক মানুষ। লুহানস্কের আঞ্চলিক প্রধানের বরাত দিয়ে এ তথ্য জানিয়েছে ব্রিটিশ গণমাধ্যম বিবিসি ও কাতারভিত্তিক গণমাধ্যম আল-জাজিরা।
আঞ্চলিক প্রধান সেরহি হাইদাই ইউক্রেনের টেলিভিশনকে বলেছেন, ‘রুশ বাহিনী আজোত রাসায়নিক কারখানায় হামলা চালিয়েছে। সেখানে রেডিয়েটর থেকে কয়েক টন তেল লিক হওয়ার পরে স্থানীয় সময় শনিবার আগুনের সূত্রপাত হয়।’
আল-জাজিরার প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, আজোত প্ল্যান্ট থেকে যোদ্ধাদের সরিয়ে নেওয়ার ব্যাপারে আলোচনা করতে রুশ বাহিনী অস্বীকার করেছে। প্ল্যান্টটি তারা অবরুদ্ধ করে রেখেছে। সেখানে ভূগর্ভস্থ আশ্রয়কেন্দ্রে ইউক্রেনের যোদ্ধাদের সঙ্গে অন্তত ৮০০ মানুষ আটকা পড়ে আছে।
সেভেরোদনেৎস্কের বেশির ভাগ এলাকা এখন রুশদের দখলে বলে স্বীকার করেছেন সেরহি হাইদাই। রুশ বাহিনীর পক্ষ থেকেও বলা হয়েছে, এ অঞ্চলের সব আবাসিক এলাকা এখন তাদের নিয়ন্ত্রণে।
শনিবারের সাক্ষাৎকারে সেরহি হাইদাই বলেছেন, ‘আজোত প্ল্যান্টে কয়েক ঘণ্টা ধরে তুমুল যুদ্ধ চলছে। সেখানে তেলের পাইপ লিক হয়ে আগুন ধরে গেছে।’ তবে কতজন হতাহত হয়েছে সে ব্যাপারে কিছু বলতে পারেননি তিনি। আগুন নিয়ন্ত্রণে আছে বলেও জানান হাইদাই।
সেরহি হাইদাই আরও বলেছেন, ‘রাস্তার লড়াইয়ে আমাদের সৈন্যরা জয়লাভ করছে। কিন্তু আমাদের সৈন্যদের আশ্রয়কেন্দ্রগুলো শত্রুবাহিনী কামানের গোলা দিয়ে গুঁড়িয়ে দিচ্ছে। আমরা যখন সম্মুখ সমরে তাদের রাস্তা থেকে সরিয়ে দেই, তারা তখন দূর থেকে কামান ব্যবহার করে পুরো এলাকাকে ধ্বংস করতে শুরু করে।’
এদিকে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি বলেছেন, ‘দনবাসে রুশ সেনাদের সঙ্গে যুদ্ধে ব্যাপক হতাহতের ঘটনা ঘটেছে। আমাদের সৈন্যরা দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলীয় খেরসন ও জাপোরিঝিয়ার গ্রাম ও শহরগুলো পুনরুদ্ধার করেছে।