‘ইউক্রেনের সঙ্গে যুদ্ধ করার ইচ্ছা রাশিয়ার নেই। তবে আমরা আমাদের স্বার্থকে বাজেভাবে পদদলিত হতে দেব না।’ আজ শুক্রবার রুশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী সের্গেই লাভরভ মস্কোতে এক সংবাদ সম্মেলনে এমনটি জানিয়েছেন। বার্তা সংস্থা রয়টার্সের প্রতিবেদনে এমনটি বলা হয়েছে।
সংবাদ সম্মেলনে রুশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, পশ্চিমারা রাশিয়ার স্বার্থ উপেক্ষা করছিল। কিন্তু রাশিয়ার প্রস্তাবের পর গত বুধবার মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও ন্যাটোর লিখিত প্রতিক্রিয়াগুলোতে অন্তত কিছু ছিল। মস্কো আশা করে, যুক্তরাষ্ট্র ও পাশ্চাত্য মিত্ররা রাশিয়ার প্রকৃত অবস্থান উপলব্ধি করতে সক্ষম হবে।
আগামী কয়েক সপ্তাহের মধ্যে মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠক করতে পারবেন বলে আশা প্রকাশ করেন লাভরভ।
পশ্চিমা দেশগুলোর অভিযোগ, ইউক্রেনে হামলা চালানোর জন্য দেশটির সীমান্ত এলাকায় এক লাখ সেনা মোতায়েন করেছে রাশিয়া। তবে রাশিয়া বরাবরই বলছে, ইউক্রেনে হামলা চালানোর ইচ্ছা তাদের নেই।
যুক্তরাষ্ট্র ও এর মিত্র দেশগুলো এর মধ্যেই সতর্ক করে দিয়ে বলেছে, ইউক্রেনে হামলা চালালে অর্থনৈতিক নিষেধাজ্ঞার মুখে পড়তে হবে পুতিনকে।
এদিকে শুক্রবার হোয়াইট হাউসের কর্মকর্তারা সাংবাদিকদের জানিয়েছেন, আগের দিন বৃহস্পতিবার ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির সঙ্গে টেলিফোনে কথা বলেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। এ সময় জেলেনস্কিকে বাইডেন সতর্কবার্তা দিয়ে বলেছেন, আগামী ফেব্রুয়ারি মাসে ইউক্রেনের বিরুদ্ধে রাশিয়া সামরিক পদক্ষেপ নিতে পারে বলে ‘সুনিশ্চিত’ বা ‘অতিস্পষ্ট সম্ভাবনা’ আছে।
বাইডেনের ফোনালাপের ২৪ ঘণ্টার মধ্যেই সংবাদ সম্মেলনে রাশিয়ার অবস্থান তুলে ধরলেন লাভরভ।
সাবেক সোভিয়েত ইউনিয়নের অঙ্গরাজ্য ও রাশিয়ার প্রতিবেশী রাষ্ট্র ইউক্রেন কয়েক বছর আগে ন্যাটোর সদস্যপদের জন্য আবেদন করার পর থেকেই রাশিয়া ও ইউক্রেনের মধ্যে উত্তেজনা শুরু হয়। সম্প্রতি ন্যাটো ইউক্রেনকে সদস্যপদ না দিলেও ‘সহযোগী দেশ’ হিসেবে মনোনীত করায় আরও বেড়েছে এই উত্তেজনা।
এদিকে মস্কো যদি ইউক্রেনে আক্রমণ করে তাহলে রাশিয়ার গুরুত্বপূর্ণ পাইপলাইন বিচ্ছিন্ন করার হুমকি দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র ও জার্মানি। মার্কিন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক মুখপাত্র বলেছেন, রাশিয়া যদি হামলা চালায়, তাহলে নর্ড স্ট্রিম-২ পাইপলাইন সামনে এগোবে না।