যুদ্ধবিধ্বস্ত ইউক্রেন পুনর্গঠনের জন্য ‘মার্শাল প্ল্যান’ হাতে নেওয়ার বিষয়ে আলোচনার জন্য জার্মানির চ্যান্সেলর ওলাফ শোলজ ও ইউরোপীয় কমিশনের ডাকে বার্লিনে এক বৈঠকে মিলিত হয়েছেন বিশ্ব নেতৃবৃন্দ, উন্নয়ন বিশেষজ্ঞ ও বিভিন্ন সংস্থার প্রধান কার্যনির্বাহীরা।
দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর ইউরোপ পুনর্গঠনের জন্য যুক্তরাষ্ট্রের নেওয়া ‘মার্শাল প্ল্যানের’ সঙ্গে তুলনীয় এই পরিকল্পনার আওতায় ৭৫০ বিলিয়ন ডলারের ব্যয় ধরা হয়েছে। তবে এই ব্যয়ে অংশগ্রহণের বিষয়ে বৈঠকে কোনো প্রতিশ্রুতি আসেনি বলে বার্তা সংস্থা রয়টার্স জানিয়েছে।
এ বিষয়ে জার্মান পত্রিকা ফ্র্যাংকফুর্টার অ্যালজেমেইনে তাঁরা লেখেন, ‘ইউক্রেনকে পুনর্গঠনের ধরনই বলে দেবে ভবিষ্যতে ইউক্রেন কী ধরনের দেশে পরিণত হতে চলেছে।’
তাঁরা আরও বলেন, ‘ইউক্রেন ভবিষ্যতে শক্তিশালী আইনশাসিত রাষ্ট্র বা আধুনিক অর্থনীতিসমৃদ্ধ রাষ্ট্রে পরিণত হতে পারবে কি না, তা এই মার্শাল পরিকল্পনা বাস্তবায়নের ধরনের ওপর নির্ভর করবে।’
জার্মান চ্যান্সেলর ওলাফ শোলজ বৈঠকে বলেন, ইউক্রেনকে ইউরোপীয় ইউনিয়নের সদস্য হিসেবে চায় জার্মানি। দেশটির পুনর্গঠনে দাতা সংস্থাগুলো যেন বিষয়টি বিবেচনায় রাখে।
তিনি আরও বলেন, ‘পুতিনের এই যুদ্ধ জার্মানি ও ইউক্রেনকে একত্রে কাজ করতে প্রেরণা দিয়েছে।