রাশিয়ার সৈন্যরা ইউক্রেনের খারকিভ অঞ্চলে একের পর এক গ্রাম দখলে নিচ্ছে। গত সপ্তাহেই রুশ বাহিনী খারকিভে স্থল অভিযান শুরু করেছিল। পরে তাদের হামলায় পিছু হটতে বাধ্য হয় ইউক্রেনের সেনারা। উদ্বেগজনক এমন পরিস্থিতির মধ্যে বিদেশে যাওয়ার সব পরিকল্পনা আজ বুধবার বাতিল করেছেন ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলদিমির জেলেনস্কি।
গত মঙ্গলবার ইউক্রেনের সাধারণ কর্মীরা জানিয়েছিলে, জীবন বাঁচাতে এবং ক্ষয়ক্ষতি এড়াতেই রাশিয়া থেকে মাত্র তিন মাইল দূরে অবস্থিত লুকিয়ানসি এবং ভোভচানস্ক থেকে তাঁদের সৈন্যরা ফিরে এসেছে। এর আগে গত সপ্তাহে রুশ বাহিনী খারকিভে আক্রমণ শুরু করলে প্রায় ৮ হাজার বাসিন্দা ওই এলাকা থেকে পালিয়ে আসতে বাধ্য হন।
স্কাই নিউজের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ২০২২ সালের ফেব্রুয়ারিতে ইউক্রেনে হামলা শুরুর পর এবারই সবচেয়ে সুবিধাজনক অবস্থানে রয়েছে রুশ বাহিনী।
খারকিভের পরিস্থিতির কথা উল্লেখ করে আজ বুধবার জেলেনস্কির প্রেস কর্মকর্তা জানিয়েছেন, আগামী কয়েক দিনের মধ্যে সম্ভাব্য সব বিদেশি সফর বাতিল করেছেন প্রেসিডেন্ট।
সাম্প্রতিক সময়ে গোলাবারুদ এবং জনবল সংকটে থাকা ইউক্রেনের বাহিনীকে চেপে ধরার কৌশল নিয়েছিল রাশিয়া। সীমান্ত এলাকাগুলোতে প্রায় ৬২০ মাইল এলাকাজুড়ে প্রশস্ত ইউক্রেনের একটি প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা ভেঙে দেওয়ার পরিকল্পনা নিয়ে এগোতে শুরু করে তারা। বর্তমানে রাশিয়ার আর্টিলারি অভিযানে ইউক্রেনের উত্তর চেরনিহিভ এবং সুমি অঞ্চলও হুমকির মুখে পড়েছে।
এদিকে আজ বুধবার একটি ইতিবাচক খবরও দিয়েছে ইউক্রেনের সেনাবাহিনী। দাবি করেছে, উত্তর-পূর্ব খারকিভ অঞ্চলের সীমান্ত শহর ভোভচানস্ক থেকে তারা রুশ বাহিনীকে কিছুটা পেছনে ঠেলে দিতে সক্ষম হয়েছে। এখান থেকেই গত সপ্তাহে আক্রমণ শুরু করেছিল রাশিয়ার সেনারা।
যুদ্ধক্ষেত্রের পরিস্থিতি সম্পর্কে হালনাগাদ তথ্যে ইউক্রেনের বাহিনী জানিয়েছে, খারকিভের উত্তর এবং উত্তর-পশ্চিম অংশে সক্রিয় যুদ্ধ চলছে এবং মোট ১৮টি রাশিয়ান আক্রমণ তারা ইতিমধ্যেই প্রতিহত করেছে।
মঙ্গলবার রাতে এক ভাষণে জেলেনস্কি জানান, খারকিভ এবং দোনেৎস্কে সৈন্য সংখ্যা এবং শক্তি বাড়ানো হচ্ছে। এ সময় পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রয়েছে বলেও দাবি করেন তিনি।