হোম > বিশ্ব > এশিয়া

এবার বাড়ির একাংশ বিক্রির চেষ্টা ভাইয়ের—বাধা দিল সু চি’র আইনি দল

আজকের পত্রিকা ডেস্ক­

২০১১ সালে অং সান সুচির ঐতিহাসিক বাড়িটিতে সফর করেছিলেন হিলারি ক্লিনটন। ছবি: দ্য গার্ডিয়ান

মিয়ানমারে ইয়াংগুনের ইউনিভার্সিটি অ্যাভিনিউ সড়কের ঐতিহাসিক ৫৪ নম্বর প্লটটি মূলত দেশটির গণতন্ত্রপন্থী নেত্রী অং সান সু চি’র বাড়ি হিসেবেই বিশ্বজুড়ে পরিচিত। কিন্তু উত্তরাধিকার সূত্রের এই বাড়িটির একটি অংশ বিক্রির জন্য অনুমতি চেয়ে সম্প্রতি আবেদন করেছেন সু চি’র বড় ভাই অং সান ও। তবে ও-এর দাখিল করা ওই আবেদনপত্রের বিরুদ্ধে আনুষ্ঠানিক আপত্তি জানিয়েছে সুচির আইনি দল।

গত ৫ জুন ইয়াংগুনের কামায়ুট জেলা আদালতে ওই আপত্তিপত্র দাখিল করা হয় বলে জানিয়েছে মিয়ানমার-ভিত্তিক সংবাদমাধ্যম মিজিমা। আদালত আগামী ১২ জুন এই বিষয়ে শুনানির দিন ধার্য করেছে।

এর আগে গত ২৯ মে অনুষ্ঠিত এক শুনানিতে ১.৯২৩ একরের ওই সম্পত্তি থেকে ১ একর জমি বিক্রির অনুমতি চেয়েছিলেন অং সান ও। এ ক্ষেত্রে বাকি ০.৯২৩ একর জমিতে সুচির বাসভবন ও সংলগ্ন জমি আলাদা হিসেবে বিবেচনা করা হয়েছিল।

এদিকে অং সান সু চি বাসভবনসংলগ্ন ওই সম্পত্তিটি (প্লট নম্বর ৫৪) এর আগেও চারবার নিলামে তোলা হয়েছিল অং সান ও-এর পক্ষ থেকে। তবে প্রতিবারই এই সম্পত্তি কেউ কিনতে আসেনি।

একপর্যায়ে অং সান ও প্রস্তাব দিয়েছিলেন, নিলামের ভিত্তিমূল্য নির্ধারণ করতে অং সান সু চিকে অনুমতি দেওয়া হোক। কিন্তু আদালত সেই প্রস্তাব খারিজ করে দেয়। এরপরই তিনি জমির একটি অংশ বিক্রির বিকল্প প্রস্তাব দাখিল করেন।

অং সান সু চির আইনি দল বারবার এই সম্পত্তি বিক্রির বিরোধিতা করে আসছে। কারণ আইনজীবীদের সঙ্গে যোগাযোগ বা মামলায় অংশগ্রহণ করার সুযোগ সু চি’র নেই।

২০১৬ সালে পশ্চিম ইয়াংগুন জেলা আদালত রায় দিয়েছিল, ১. ৯২৩ একরবিশিষ্ট ওই প্লটের দোতলা বাসভবনসহ অর্ধেক জমি অং সান সু চিকে এবং বাকি অংশ ও একতলা একটি ঘর অং সান ও-কে দেওয়া হবে। তবে পরবর্তীতে পুরো সম্পত্তি বিক্রি করে লাভ সমান ভাগে ভাগ করার দাবি জানান অং সান ও। এ ছাড়া তিনি তাঁর মা খিন কি’র ভাগনে খিন মং-এর নামে থাকা বাড়ি ও জমিটিও এই সম্পত্তি বণ্টনের অন্তর্ভুক্ত করার চেষ্টা করেন। তাঁর এই দাবি শুরুতে আদালতের সব পর্যায়ে খারিজ হয়ে যায়। তবে ২০২১ সালের সামরিক অভ্যুত্থানের পর ২০২২ সালে একটি বিতর্কিত রায়ে ইউনিয়ন সুপ্রিম কোর্ট তাঁর আপিল মঞ্জুর করে।

এদিকে, বর্তমানে মিয়ানমারের ছায়া সরকার হিসেবে পরিচিত জাতীয় ঐক্য সরকার (এনইউজি) ৫৪ নম্বর ইউনিভার্সিটি অ্যাভিনিউয়ের এই ভবনটিকে ‘অন্তর্বর্তীকালীন জাতীয় সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য’ হিসেবে ঘোষণা করেছে। এই সরকার জানিয়েছে, এই সম্পত্তি বিক্রি, মালিকানা হস্তান্তর বা ভাঙচুর সম্পূর্ণ অবৈধ এবং এর কোনো লঙ্ঘন হলে কঠিন পরিণতি ভোগ করতে হবে।

জানুয়ারিতে আন্তর্জাতিক বিচার আদালতে মিয়ানমারের বিরুদ্ধে রোহিঙ্গা গণহত্যার শুনানি

দেশের টাকমাথার লোকদের বাঁচানোর লড়াইয়ে দক্ষিণ কোরিয়ার প্রেসিডেন্ট

কম্বোডিয়ার সীমান্তবর্তী শহরে বোমা ফেলল থাইল্যান্ড

ক্রিপটো চুরি করে এই বছর উত্তর কোরিয়ার আয় ২.২ বিলিয়ন ডলার

বিদ্বেষমূলক বক্তব্য ও ধর্মীয় বক্তাদের দমনে কঠোর হচ্ছে অস্ট্রেলিয়া

তাইওয়ানে বিপুল অস্ত্র বিক্রির অনুমোদন, নিজের বিপদ ডেকে আনছে যুক্তরাষ্ট্র—হুমকি চীনের

জান্তার কাছে এবার মায়ের বেঁচে থাকার প্রমাণ চাইলেন সু চিপুত্র

বন্ডাই বিচে হামলাকারীকে থামাতে গিয়ে প্রাণ হারান এক বৃদ্ধ দম্পতিও!

পাকিস্তানি বলে গুঞ্জন—বন্ডাই বিচের হামলাকারীরা আসলে ভারতীয়

বন্ডাই বিচ ট্র্যাজেডি: ভারত ও অস্ট্রেলিয়ার পাসপোর্টে ফিলিপাইনে গিয়েছিল হামলাকারী বাবা-ছেলে