দেশে টিকটকের কার্যক্রম স্থগিত করার ঘোষণা দিয়েছে ইন্দোনেশিয়া সরকার। দেশটির ডিজিটাল মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, জনপ্রিয় এই সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমটি সম্প্রতি অনুষ্ঠিত বিক্ষোভের সময় লাইভ স্ট্রিম ফিচারের অপব্যবহার সম্পর্কিত পূর্ণাঙ্গ তথ্য সরবরাহ করতে ব্যর্থ হয়েছে। এর ফলে টিকটকের অপারেশনাল রেজিস্ট্রেশন সাময়িকভাবে স্থগিত করা হয়েছে।
সরকারি এই সিদ্ধান্তের কারণে ইন্দোনেশিয়ায় টিকটকের ১০ কোটির বেশি ব্যবহারকারী ঝুঁকিতে পড়তে পারেন। তবে শুক্রবার (৩ অক্টোবর) ঘোষণার পরও অ্যাপটি স্বাভাবিকভাবেই চালু ছিল। তাৎক্ষণিকভাবে এই সিদ্ধান্তের বাস্তব প্রভাব কী হবে, সে বিষয়ে মন্ত্রণালয় কোনো ব্যাখ্যা দেয়নি।
ইন্দোনেশিয়ার যোগাযোগ ও ডিজিটাল মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তা আলেক্সান্ডার সাবার জানিয়েছেন, আগস্টের শেষ থেকে সেপ্টেম্বর পর্যন্ত চলা বিক্ষোভে টিকটকের কিছু অ্যাকাউন্ট অনলাইন জুয়ার সঙ্গে জড়িত থেকে লাইভ স্ট্রিম ফিচার ব্যবহার করেছে। উচ্চপর্যায়ের সংসদ সদস্যদের অস্বাভাবিক ভাতা এবং পুলিশি নির্যাতনের বিরুদ্ধে সম্প্রতি দেশটিতে বিক্ষোভ ছড়িয়ে পড়ে।
যুক্তরাজ্যভিত্তিক ইনডিপেনডেন্ট জানিয়েছে, ঘটনার সময় টিকটক সাময়িকভাবে তাদের লাইভ ফিচার বন্ধ করেছিল। তখন কোম্পানি বলেছিল, প্ল্যাটফর্মকে নিরাপদ ও শালীন রাখতে এই পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। শুক্রবার টিকটকের একজন মুখপাত্র জানান, তারা প্রতিটি দেশে স্থানীয় আইন মেনে চলে এবং এই বিষয়ে ইন্দোনেশিয়ার মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে সমাধানের চেষ্টা চলছে।
ইন্দোনেশিয়ার সরকারের পক্ষ থেকে টিকটককে ট্রাফিক, স্ট্রিমিং ও আয়ের তথ্য দিতে বলা হয়েছিল। কিন্তু কোম্পানি তাদের অভ্যন্তরীণ নীতির কারণে সম্পূর্ণ তথ্য দেয়নি বলে আলেক্সান্ডার সাবার অভিযোগ করেন। তাঁর ভাষায়, ‘এই কারণে মন্ত্রণালয় মনে করেছে প্রাইভেট ইলেকট্রনিক প্রোভাইডার হিসেবে টিকটক তাদের দায়িত্ব লঙ্ঘন করেছে।’
নিয়ম অনুযায়ী, ইন্দোনেশিয়ার লাইসেন্সপ্রাপ্ত প্রতিটি কোম্পানিকে সরকারের কাছে প্রয়োজনীয় তথ্য হস্তান্তর করতে হবে। তা না হলে তাদের কার্যক্রম বন্ধ করে দেওয়া বা লাইসেন্স স্থগিত করার বিধান রয়েছে।