হোম > বিশ্ব > এশিয়া

মিয়ানমারে সামরিক বাহিনীর হামলায় ২৫ গেরিলা নিহত

মিয়ানমারে জান্তাবিরোধী গেরিলা সেনাদের ওপর হামলা চালিয়েছেন সরকারি সেনারা। গত শুক্রবার রাতে সাগাইং অঞ্চলের মাইনমু শহরে চালানো অতর্কিত দুটি হামলায় ২৫ জান্তাবিরোধী যোদ্ধা নিহত হয়েছেন।  

আজ সোমবার মিয়ানমার নাউ সংবাদমাধ্যম এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে। 

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, শুক্রবার রাতে সাগাইং অঞ্চলের মাইনমু টাউনশিপে অতর্কিতভাবে চালানো দুটি হামলায় পিপলস ডিফেন্স ফোর্সসহ (পিডিএফ) সশস্ত্র জান্তাবিরোধী প্রতিরোধ গোষ্ঠীর ২৫ সদস্য নিহত হয়েছেন।

মাইনমু শহরের ২০ কিলোমিটার দক্ষিণ-পশ্চিমে চ্যা ইয়ার তাও গ্রামের কাছে জান্তা বাহিনী প্রথম আক্রমণ করে। ১৮ জন গেরিলা যোদ্ধাকে বহনকারী একটি গাড়িকে লক্ষ করে ওই হামলা চালানো হয়।

হামলার শিকার এই গেরিলা যোদ্ধারা মাইনমু এবং মায়াংয়ে মধ্যে ভ্রমণ করছিলেন। সাগাইং ডিস্ট্রিক্ট পিডিএফের পঞ্চম ব্যাটালিয়নের মুখপাত্রের মতে, জান্তা বাহিনীর ওই হামলায় গাড়ির আরোহীদের সবাই নিহত হয়েছেন।

এর কয়েক মিনিট পর গেরিলা বাহিনীর সাত সদস্যের আরেকটি মোটরসাইকেল বহরকে লক্ষ্য করে জান্তা বাহিনীর একই ইউনিট হামলা চালায়। পিডিএফ তথ্য কর্মকর্তা বলেন, ওই হামলার শিকার কেউ বেঁচে নেই।

নিহত যোদ্ধারা সাগাইং ডিস্ট্রিক্ট পিডিএফের পঞ্চম ও ষষ্ঠ ব্যাটালিয়নের পাশাপাশি মাইনমু টাউনশিপের কিয়াউত মিন গ্রাম প্রতিরক্ষা দলের সদস্য ছিলেন। তাঁরা অভ্যন্তরীণভাবে বাস্তুচ্যুত ব্যক্তিদের (আইডিপি) দখলকৃত স্থান থেকে নিরাপদে পালাতে সাহায্য করার চেষ্টা করছিলেন বলে জানা গেছে।

পিডিএফ মুখপাত্র বলেছেন, ‘যখন সামরিক বাহিনী ওই গ্রামগুলোতে আক্রমণ শুরু করে, তখন আমার ব্যাটালিয়নের কমরেডরা ছুটি নিয়ে বাড়ি ফিরছিলেন, তাঁরা এবং তাঁদের বন্ধুরা বাস্তুচ্যুত ব্যক্তিদের সরিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করছিল। আক্রমণের প্রথম প্রচেষ্টার সময় তাঁরা পালিয়ে যান। এরপর বাকি বাস্তুচ্যুতদের সাহায্য করতে তাঁরা ফিরে গেলে তাঁদের ওপর আবার হামলা করে হত্যা করা হয়।’

এদিকে অতর্কিত এই হামলার পর জান্তাপন্থী টেলিগ্রাম চ্যানেলের বেশ কিছু ছবি প্রকাশ করা হয়। এসব ছবিতে জ্বলন্ত গাড়ি, রক্তাক্ত মরদেহ দেখা যায়। পরে নিহতদের মরদেহ ঘটনাস্থলে ফেলে রেখে যাওয়া হয় এবং শনিবার বিকেলে তাঁদের স্বজন ও ব্যাটালিয়নের সদস্যরা দাফন করেন।

পৃথক প্রতিবেদনে সংবাদমাধ্যম দ্য ইরাবতী জানিয়েছে, শনিবার মাইনমু-মাইয়াং সড়কের চ্যা ইয়ার তাও গ্রামের কাছে ২৪ জন প্রতিরোধ যোদ্ধা এবং মাইনমু টাউনশিপ প্রশাসনিক কর্মীর মৃতদেহ পাওয়া গেছে বলে বাসিন্দারা জানিয়েছেন।

গ্রুপগুলো জানিয়েছে, যোদ্ধারা সশস্ত্র থাকলেও তাঁদের কাছে স্বয়ংক্রিয় রাইফেল ও পর্যাপ্ত গোলাবারুদ ছিল না এবং তাঁরা আশপাশে ঘিরে ফেলা বাহিনীর কাছে আত্মসমর্পণ করেছিলেন। পরে তাঁদের হত্যা করা হয়। 

অবশ্য আটক ব্যক্তিদের মধ্যে তিনজন পালিয়ে যেতে সক্ষম হয় বলে জানায় তারা।

তাইওয়ানে মেট্রো স্টেশনে স্মোক বোমা ছুড়ে ছুরি হামলা, নিহত ৩

জানুয়ারিতে আন্তর্জাতিক বিচার আদালতে মিয়ানমারের বিরুদ্ধে রোহিঙ্গা গণহত্যার শুনানি

দেশের টাকমাথার লোকদের বাঁচানোর লড়াইয়ে দক্ষিণ কোরিয়ার প্রেসিডেন্ট

কম্বোডিয়ার সীমান্তবর্তী শহরে বোমা ফেলল থাইল্যান্ড

ক্রিপটো চুরি করে এই বছর উত্তর কোরিয়ার আয় ২.২ বিলিয়ন ডলার

বিদ্বেষমূলক বক্তব্য ও ধর্মীয় বক্তাদের দমনে কঠোর হচ্ছে অস্ট্রেলিয়া

তাইওয়ানে বিপুল অস্ত্র বিক্রির অনুমোদন, নিজের বিপদ ডেকে আনছে যুক্তরাষ্ট্র—হুমকি চীনের

জান্তার কাছে এবার মায়ের বেঁচে থাকার প্রমাণ চাইলেন সু চিপুত্র

বন্ডাই বিচে হামলাকারীকে থামাতে গিয়ে প্রাণ হারান এক বৃদ্ধ দম্পতিও!

পাকিস্তানি বলে গুঞ্জন—বন্ডাই বিচের হামলাকারীরা আসলে ভারতীয়