হেলিকপ্টার দুর্ঘটনায় নিহত হয়েছেন ইরানের প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম রাইসি। গতকাল রোববার তাঁকে বহনকারী হেলিকপ্টারটি দেশটির এক দুর্গম পার্বত্য এলাকায় পতিত হয়। আজ সোমবার সকালে ইরানি গণমাধ্যমগুলো তাঁর মৃত্যুর খবর প্রকাশ করে। ইব্রাহিম রাইসি ইরানের সেই নেতাদের একজন যাঁরা দেশটির ইসলামি বিপ্লবের সক্রিয় অংশগ্রহণকারী।
ইব্রাহিম রাইসি ৬১ বছর বয়সে ২০২১ সালে ইরানের প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হন। মাত্র তিন বছরেরও কম সময়ের শাসনামলে ইরান পশ্চিমা সহায়তা ছাড়াই সৌদি আরবের সঙ্গে সম্পর্ক পুনরুদ্ধার করেছে, রাশিয়ার সঙ্গে সম্পর্ক এগিয়ে নিয়েছে, বেইজিং-মস্কোর সঙ্গে অর্থনৈতিক সম্পর্ক জোরদার করে ডি-ডলারাইজেশন প্রক্রিয়া এগিয়ে নিয়েছে। এ ছাড়া তাঁর শাসনামলেই ইরান ব্রিকসে যোগ দিয়েছে।
ইরানের প্রয়াত এই প্রেসিডেন্ট ১৯৬০ সালের ১৪ ডিসেম্বর দেশটির মাশহাদ শহরে জন্মগ্রহণ করেন। তাঁর পরিবার মাশহাদের ধর্মীয় পরিমণ্ডলে বেশ পরিচিত ছিল। তরুণ বয়সে ইব্রাহিম রাইসি ১৯৭৮-৭৯ সালে ইরানে সংঘটিত ইসলামি বিপ্লবে সক্রিয়ভাবে অংশগ্রহণ করেন। সেই বিবেচনায় ইব্রাহিম রাইসি ইসলামি বিপ্লবেরই সন্তান।
ইব্রাহিম রাইসি কওমের একটি ইসলামিক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান থেকে স্নাতক ও শহীদ মোতাহারি বিশ্ববিদ্যালয়ে ইসলামি আইনে পড়াশোনা শেষ করেন। পরে তিনি ইরানে বিচার বিভাগে যোগ দেন। রাইসি ১৯৮৫ সাল থেকে ১৯৮৯ সাল পর্যন্ত তেহরানের ডেপুটি প্রসিকিউটর হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। পরে তিনি তেহরানের প্রসিকিউটর পদেও নিযুক্ত হন।
কর্মজীবনের শেষ বছরে ইব্রাহিম রাইসি ইরানের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন এবং ৬২ শতাংশ ভোট পেয়ে দেশটির প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হন। তাঁর শাসনামলে চীন, রাশিয়া, সৌদি আরবসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশের সঙ্গে সম্পর্কোন্নয়ন করে তেহরান। ইসরায়েলে আলোচিত ইরানি হামলার সময়ও প্রেসিডেন্ট ছিলেন তিনি।
এই সম্পর্কিত আরও পড়ুন—