হোম > বিশ্ব > এশিয়া

ইসরায়েলের হাত থেকে মুক্তির আশা নেই ফিলিস্তিনিদের

ইসরায়েলের বিভিন্ন কারাগারে বর্তমানে ৭ হাজার ২০০ ফিলিস্তিনি বন্দী রয়েছে। এর এক-তৃতীয়াংশই গ্রেপ্তার হয়েছে চলতি যুদ্ধে। ইসরায়েলি জিম্মিদের বিপরীতে দেশটি ফিলিস্তিনি কয়েদিদের মুক্তি দিলেও ফের গ্রেপ্তার করা হবে। অতীতেও এমনটাই হতে দেখেছেন ফিলিস্তিনিরা। এমনকি যুদ্ধবিরতির মধ্যেই পশ্চিম তীর থেকে গত ২৪ ঘণ্টায় আটক করা হয়েছে ৯০ জনের বেশি। ফলে ফিলিস্তিনিরা মনে করছেন, জিম্মিদের বিনিময়ে ফিলিস্তিনিরা মুক্তি পেলেও ইসরায়েলি দখলদারিত্বের থাবা থেকে তাদের সহজেই মুক্তি আসছে না। বিষয়টি নিয়ে আল-জাজিরায় এটি নিবন্ধ প্রকাশিত হয়েছে।

গাজায় যুদ্ধবিরতি চলাকালে ইসরায়েলের কারাগার থেকে ফিলিস্তিনি কয়েদিদের সম্ভাব্য মুক্তি নিয়ে উত্তেজনা ও আকাঙ্ক্ষার মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা যাচ্ছে। কেউ কেউ এটি ঘটার পরই বিশ্বাস করতে চাইছেন। ফিলিস্তিনি কয়েদিদের মুক্তি নিয়ে সেখানকার যাদের সঙ্গে আল জাজিরার প্রতিবেদকেরা কথা বলেছেন, তাঁদের কেউই মনে করছেন না বিষয়টি খুব সহজভাবে হবে। ফিলিস্তিনিদের সঙ্গে কথা বলে এমনও মনে হয়েছে যে তাঁদের আসলে মুক্তির আশা নেই।

অধিকৃত পশ্চিম তীর থেকে আল-জাজিরার সাংবাদিক জেইন বাসরাভি বলেন, ফিলিস্তিনিরা আসলে ইসরায়েলকে একটুও বিশ্বাস করে না। তাঁরা মনে করছেন, কারাগার থেকে ইসরায়েল কয়েদিদের মুক্তি দিলেও ফের তাঁদের গ্রেপ্তার করা হবে। এমনটাই তাঁরা হতে দেখেছেন। এবারও ব্যতিক্রম হবে, সেটি তাঁরা মনে করছেন না। 

ফিলিস্তিনের মুক্তিকামী সশস্ত্র সংগঠন হামাস গত ৭ অক্টোবর ইসরায়েলে নজিরবিহীন হামলা চালায়। এতে ১ হাজার ২০০ ইসরায়েলি নিহত হয়। ২৪০ জনকে জিম্মি করে হামাস। এর জবাবে ওই দিনই গাজায় হামলা শুরু করে ইসরায়েল। সম্প্রতি শুরু হয় স্থল অভিযানও। এতে মোট ১৪ হাজার ৮০০ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছে। এর মধ্যে ৬ হাজার ১৫০টি শিশু এবং নারী ৪ হাজার জন। 

গতকাল যুদ্ধের ৪৯তম দিনে যুদ্ধবিরতি কার্যকর শুরু হয়। ইসরায়েল ও হামাসের মধ্যকার এই চুক্তি অনুযায়ী, চার দিনের যুদ্ধবিরতি চলাকালে ৫০ জিম্মিকে মুক্তি দেবে হামাস। বিপরীতে ইসরায়েলের কারাগার থেকে মুক্তি পাবে ১৫০ জন নারী ও শিশু। এরপর প্রতি ১০ জন ইসরায়েলি জিম্মি মুক্তির বিনিময়ে যুদ্ধবিরতি এক দিন করে বাড়বে। 

ইসরায়েলি কারাগারগুলোতে ৭ হাজার ২০০-র বেশি ফিলিস্তিনি কয়েদি রয়েছে। এর এক-তৃতীয়াংশকে গ্রেপ্তার করা হয় এবার যুদ্ধ শুরুর পর।

গত বৃহস্পতিবার রাতে আল-জাজিরার এক প্রতিবেদনে বলা হয়, অধিকৃত পশ্চিম তীরে অভিযান চালিয়ে গত ২৪ ঘণ্টায় ৯০ জনের বেশি লোককে আটক করা হয়। তাই ফিলিস্তিন ভূখণ্ডে যত দিন ইসরায়েলের দখলদারি কায়েম থাকবে, তত দিন পর্যন্ত এই ধরনের মুক্তি আদতে দীর্ঘস্থায়ী কিছু নয়—এটি সেখানকার বাসিন্দারা বোঝেন। ফিলিস্তিনিদের স্থায়ী মুক্তি বলে কিছু নেই, এটি যেমন এবার যুদ্ধবিরতিতে ইসরায়েলি কারাগার থেকে সম্ভাব্য মুক্তিপ্রাপ্তদের জন্য প্রযোজ্য, একইভাবে সত্য ফিলিস্তিন ভূখণ্ডের সব বাসিন্দার জন্যই। 

আল জাজিরার প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, প্রত্যেক ইসরায়েলি জিম্মির মুক্তির বিনিময়ে মুক্তি দেওয়া হবে তিন ফিলিস্তিনিকে। এ ছাড়া যুদ্ধবিরতির প্রতিদিন সকাল ১০টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত গাজা সিটি এবং উপত্যকার উত্তরাঞ্চলে উড়বে না ইসরায়েলি বিমান। 

মিসর জানিয়েছে, চার দিনের যুদ্ধবিরতি চলাকালে প্রতিদিন ১ লাখ ৩০ হাজার লিটার ডিজেল প্রবেশ করবে গাজায়। প্রতিদিন রান্নার গ্যাসসহ চার ট্রাক গ্যাস গাজায় প্রবেশ করতে দেওয়া হবে। এ ছাড়া বিরতি চলাকালে প্রতিদিনই গাজায় প্রবেশ করবে ত্রাণবাহী ২০০ ট্রাক।

থাইল্যান্ডের সঙ্গে সীমান্ত বন্ধ করল কম্বোডিয়া

ট্রাম্পের যুদ্ধবিরতি ঘোষণার পরও থাইল্যান্ড-কম্বোডিয়া সংঘর্ষ চলছে

দক্ষিণ কোরিয়ায় ইংরেজি পরীক্ষা নিয়ে এত হইচই কেন

লোকলজ্জার ভয় ও মার্কিন অর্থায়ন হ্রাস, পাপুয়া নিউগিনিতে এইচআইভি এখন ‘জাতীয় সংকট’

হাসপাতালে মিয়ানমার জান্তার বিমান হামলা, নিহত অন্তত ৩০

স্কুলে মোবাইল নিষিদ্ধের এক বছর পর কী ফল পেল নিউজিল্যান্ড

আফগানিস্তানে ‘পিকি ব্লাইন্ডার্স’ চরিত্র সাজায় চার যুবককে গ্রেপ্তার

জাপানকে ঘিরে চীনা-রুশ যুদ্ধবিমানের চক্কর—অভিযোগ টোকিওর

ইন্দোনেশিয়ায় ড্রোন সরবরাহ প্রতিষ্ঠানের কার্যালয়ে আগুন, নিহত ২০

থাইল্যান্ড–কম্বোডিয়া সীমান্তে নতুন করে ছড়িয়ে পড়েছে সংঘাত, নিহত ৭