হোম > পরিবেশ

বৈশ্বিক তাপমাত্রা বৃদ্ধির হার সর্বোচ্চ ১ দশমিক ৫ ডিগ্রিতে রাখতে জোর পদক্ষেপ নেওয়ার দাবি

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

আসন্ন জলবায়ু সম্মেলন (কপ ২৮) এ বৈশ্বিক তাপমাত্রা বৃদ্ধির হার সর্বোচ্চ ১ দশমিক ৫ ডিগ্রিতে রাখার জোর পদক্ষেপ নেওয়ার লক্ষ্যে বাংলাদেশ সরকারকে অবস্থান নেওয়ার দাবি জানিয়েছে অধিকার ভিত্তিক নাগরিক সমাজ। 

আজ শনিবার রাজধানী ঢাকার একটি হোটেলে অনুষ্ঠিত ‘কপ ২৮ জলবায়ু সম্মেলন: সরকার ও নাগরিক সমাজের অভিমত’ শীর্ষক সেমিনারে আলোচকেরা এসব কথা বলেন। এ ছাড়া ক্ষয়ক্ষতি বা লস অ্যান্ড ড্যামেজের জন্য আলাদা স্বতন্ত্র একটি তহবিল গঠনেরও দাবি বাংলাদেশের জানানো উচিত বলে তারা অভিমত প্রকাশ করেন। 

সেমিনারটি যৌথভাবে আয়োজন করে কোস্ট ফাউন্ডেশন, এন অর্গানাইজেশন ফর সোশিও ইকোনমিক ডেভেলপমেন্ট, বাংলাদেশ ক্লাইমেট জার্নালিস্ট ফোরাম, ক্লাইমেট অ্যাকশন নেটওয়ার্ক, সাউথ এশিয়া-বাংলাদেশ, সেন্টার ফর পার্টিসিপেটরি রিসার্চ অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট, কোস্টাল ডেভেলপমেন্ট পার্টনারশিপ, সেন্টার ফর রুরাল লাইভলিহুড, ইক্যুইটি অ্যান্ড জাস্টিস ওয়ার্কিং গ্রুপ, বাংলাদেশ [ইক্যুইটিবিডি], এলইডিআরএস, এলডিসি ওয়াচ। 

সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্যে জলবায়ু পরিবর্তন বিষয়ক প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ দূত এবং সংসদ সদস্য সাবের হোসেন চৌধুরী ইউএনএফসিসিসির বর্তমান প্রক্রিয়ার বেশ কয়েকটি ঘাটতির কথা উল্লেখ করেন, যেমন-কোনো বিষয়ে কোনো একটি দশ সম্মতি না দিলেই আর কোনো সিদ্ধান্ত নেওয়া যায় না। তিনি প্রক্রিয়াটি সংস্কারের সুপারিশ করেন, কারণ বিদ্যমান পরিস্থিতি বিশ্বকে একটি গভীর সংকটের দিকে নিয়ে যাচ্ছে এবং অর্জিত সাফল্য হ্রাস করছে।

সাবের হোসেন বলেন, তাপমাত্রা বৃদ্ধির হার ১ দশমিক ৫ ডিগ্রিতে রাখার লক্ষ্য পূরণের সাম্প্রতিক অবস্থার ওপর বিজ্ঞানসম্মত উপায়ে তথ্য সংগ্রহ খুব জরুরি। 

সেমিনারে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন ইক্যুইটিবিডির আমিনুল হক। তিনি কপ ২৮ এর গুরুত্ব তুলে ধরে বলেন, এই সম্মেলনে প্যারিস চুক্তি বাস্তবায়নের অগ্রগতি সংগ্রহ ও যাচাই করা হবে, আর এতে সেই চুক্তির অনেক লক্ষ্যমাত্রা পূরণের ব্যর্থতার চিত্র উঠে আসবে। তিনি উষ্ণতার লক্ষ্যমাত্রা ১ দশমিক ৫ এর ভেতর রাখা এবং জলবায়ু অর্থায়নের লক্ষ্য পূরণে ব্যর্থ হওয়ায় ধনী দেশগুলোর সমালোচনা করেন।

তিনি লস অ্যান্ড ড্যামেজের বিষয়ে একটি ঐকমত্যে পৌঁছতে ব্যর্থ হওয়ায় যুক্তরাষ্ট্র এবং তার বন্ধু রাষ্ট্রগুলোর সমালোচনা করেন। জলবায়ু সম্মেলনে অংশগ্রহণকারী বাংলাদেশ দলের কাছে সম্মেলনে কয়েকটি বিষয়ে জোর দেওয়ার সুপারিশ করেন, সেগুলো হলো,
১) কার্বন উৎগীরণকারী বড় দেশগুলোকে ২০৫০ সালের মধ্যে শূন্য উদগীরনের লক্ষ্য নিয়ে তাদের জাতীয় লক্ষ্যমাত্রা পুনর্নির্ধারণ করতে হবে, একটি স্বতন্ত্র লস অ্যান্ড ড্যামেজ তহবিল গঠন করা, জলবায়ু অর্থায়নের একটি নতুন ব্যবস্থা যা হবে অনুদান নির্ভর, ঋণ নির্ভর নয় এবং অতি বিপদাপন্ন দেশগুলোকে রক্ষায় বিশেষ সহায়তা দিতে হবে। 

ঢাকা স্কুল অব ইকোনমিকসের সভাপতি ড. কাজী খলীকুজ্জামান আহমেদের সভাপতিত্বে আরও আলোচনায় অংশ নেন ইক্যুইটিবিডির রেজাউল করিম চৌধুরী, সংসদ সদস্য ব্যারিস্টার শামীম হায়দার পাটোয়ারী, পরিবেশ অধিদপ্তরের পরিচালক জিয়াউল হক ও মির্জা শওকত আলী, ওয়াটার কিপার্সের শরীফ জামিল, সিপিআরডির মো. শামসুদ্দোহা, পিকেএসএফের ফজলে রাব্বি সাদেকী আহমেদ প্রমুখ।

ঢাকায় তাপমাত্রা কমবে কিনা জানাল আবহাওয়া অধিদপ্তর

ঢাকার বাতাস খুব অস্বাস্থ্যকর, দূষণে শীর্ষে বাগদাদ

ঢাকায় আজ ছুটির দিনে আবহাওয়া কেমন থাকবে জানা গেল পূর্বাভাসে

২১ নভেম্বরের পর ভূমিকম্পে কতবার কাঁপল বাংলাদেশ

বায়ুদূষণে দিল্লিকে হারিয়ে শীর্ষে ঢাকা, খুব অস্বাস্থ্যকর বাতাসে যা করতে হবে

ঢাকার তাপমাত্রা আজও ১৭ ডিগ্রির ঘরে

এবার ৪.১ মাত্রার ভূমিকম্পে কাঁপল দেশ

শীতে কাঁপছে উত্তরাঞ্চল, দিনাজপুরে তাপমাত্রা নামল ১১ ডিগ্রিতে

বায়ুদূষণের তালিকায় দ্বিতীয় স্থানে ঢাকা, দুর্যোগপূর্ণ অবস্থা দক্ষিণ পল্লবীর

ঢাকার তাপমাত্রা ১৭.১ ডিগ্রি সেলসিয়াস