সাদি মহম্মদ যথাযথ সম্মান পাননি। সেই অভিমান থেকেই তিনি মৃত্যুকে বেছে নেন বলে মনে করছেন তাঁর কাছের মানুষেরা। সাদি মহম্মদের মৃত্যুর পর তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়ায় রবীন্দ্রসংগীতশিল্পী অনিমা রায় জানিয়েছেন, কখনো মরণোত্তর পদক দিলে তা ফিরিয়ে দেওয়ার কথাও বলেছিলেন সাদি মহম্মদ।
অনিমা রায় বলেন, ‘বাংলাদেশ টেলিভিশনের গানের ঝরনাতলা অনুষ্ঠানের রেকর্ডিংয়ে স্যারের সঙ্গে অনেক কথা হয়। স্যার পুরো রেকর্ডিংয়ে তাঁর অভিমানের কথা বলে গেছেন। উনি বলেছেন, উনাকে যদি মরণোত্তর পদকও দেওয়া হয় উনি ফিরিয়ে দেবেন। কারণ, জীবদ্দশায় এ জাতি তাঁকে সম্মান করেনি।’
অনিমা আরও বলেন, ‘সাদি মুহম্মদের মতো একজন মানুষ এখনো জাতীয় কোনো পুরস্কার পাননি, এটা কি মানা যায়? রবীন্দ্রসংগীতে যে মানুষটার এত অবদান, এত এত শিল্পী যিনি তৈরি করেছেন—তাঁর কোনো স্বীকৃতি নেই?’
গতকাল বুধবার রাত সাড়ে ৮টার দিকে সাদি মহম্মদের ঘর ভেতর থেকে দরজা বন্ধ পাওয়া যায়। ডাকাডাকি করে কোনো সাড়া না পেয়ে দরজা ভেঙে তাঁর ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করা হয়। তাঁর পারিবারিক সূত্র জানিয়েছে, গত বছর মায়ের মৃত্যুর থেকে ট্রমার মধ্যে চলে যান তিনি।
এ ছাড়া তিনি সাংস্কৃতিক সংগঠন রবিরাগের পরিচালক ছিলেন। ২০১৫ সালে বাংলা একাডেমি ২০১২ সালে রবীন্দ্র পুরস্কারে ভূষিত করে।
১৯৭১ সালে সাদি মহম্মদের বাবা সলিমউল্লাহকে স্বাধীনতাবিরোধীরা শক্তি হত্যা করে। তাঁর বাবার নামে ঢাকার মোহাম্মদপুরের সলিমউল্লাহ রোডের নামকরণ করা হয়েছে। সাদি মহম্মদের ভাই শিবলী মোহাম্মদ প্রখ্যাত নৃত্যশিল্পী।