একই ইউনিভার্সিটি থেকে পর পর তিনজন মেয়ে নিখোঁজ হয়েছে। কেউ একজন টার্গেট করছে তরুণীদের। মঞ্জুর ধারণা, তার পছন্দের মানুষ লাবণীও হতে পারে অপহরণের শিকার। কিন্তু শুধু ধারণার ওপর ভর করে মঞ্জু কী করে বাঁচাতে পারবে লাবণীকে?
এমন এক ঘটনা নিয়ে নির্মিত হয়েছে ‘শুক্লপক্ষ’। আগামী ১১ আগস্ট রাত ৮টায় চরকিতে মুক্তি পেতে যাচ্ছে ভিকি জাহেদ পরিচলিত চরকি অরিজিনাল এই সিনেমা।
‘শুক্লপক্ষ’-এর মূল চরিত্রগুলোর মধ্যে অন্যতম একজন খাইরুল বাসার। তিনি বলেন, ‘আমি নিজেও শুক্লপক্ষ দেখার জন্য উদগ্রীব হয়ে আছি। হিংসা, প্রেম, অসহায়ত্ব, ক্ষমতা বা বর্বরতার এক দারুণ দ্বান্দ্বিক উপস্থাপন আছে এই গল্পে। আমার ধারণা, দর্শকরা গল্পের প্রতি পৃষ্ঠায় বিস্মিত হবেন। দর্শক টুইস্টের ঘোরপ্যাঁচে জড়িয়ে যাওয়ার অপেক্ষা করুক। আমি আন্তরিকভাবে আশা করছি, তারা হতাশ হবেন না।'
সুনেরাহ বিনতে কামালের প্রথম ওয়েবফিল্ম ‘শুক্লপক্ষ’। কাজের নানা অভিজ্ঞতা নিয়ে তিনি বলেন, ‘অডিয়েন্স হিসেবে যখন শুক্লপক্ষর স্ক্রিপ্ট পড়েছি তখনই কাজ করার আগ্রহ জন্মেছিল। ভিকি জাহেদের থ্রিলার মানেই তো অন্যরকম কিছু। উনার কাজ আমার বরাবর ভালো লাগে। সেই সাথে আমার কো-আর্টিস্ট যারা ছিলেন তারা সকলেই ক্যারেক্টারগুলোর সাথে জাস্টিস করেছেন।’
জিয়াউল রোশানেরও এটা প্রথম ওয়েবফিল্ম। সেই সাথে চরকিতেও তার এটা প্রথম কাজ। তিনি বলেন, ‘আমার করা প্রথম ওয়েবফিল্ম যেটা মুক্তি পেতে যাচ্ছে চরকিতে। ভিকির সাথে এটা আমার দ্বিতীয় কাজ। তার সাথে কাজ করার অভিজ্ঞতা অন্যরকমের। দর্শকরা ভিকির কাজ দেখার জন্য অপেক্ষা করে। সেই সাথে ফিল্মে আমার চরিত্রটা ফুটিয়ে তুলতে তিনি অনেক হেল্প করেছেন। সবাই নিজ নিজ জায়গা থেকে দুর্দান্ত কাজ করেছেন। সেটে আমরা সবাই খুব আনন্দ নিয়ে কাজটা করেছি। লোকেশন, গল্প, চরিত্র, পরিচালক-অভিনয় শিল্পীরা সব মিলিয়ে কাজটা দর্শক উপভোগ করবে। এখন শুধু মুক্তির অপেক্ষা।’
এই ওয়েবফিল্মে রয়েছে তিনটি গান। এর মধ্যে রয়েছে ইমরান-কনা ও সদ্য খান-অবন্তী সিঁথির দ্বৈত দুটি গান। আর অজয় রায়ের একটি গান।
শুক্লপক্ষ-এ অন্যান্য চরিত্রে দেখা যাবে ফারুক আহমেদ, শরীফ সিরাজ, আব্দুল্লাহ সেন্টু প্রমুখ।