হোম > বিনোদন > সিনেমা

সিনেমায় ভারতের স্বাধীনতায় বাঙালিদের অবদান

ভারতের স্বাধীনতার ৭৫ বছর হয়েছে। ভারত স্বাধীন করতে অনেক বাঙালিরও আত্মত্যাগ রয়েছে। ভারতবর্ষের স্বাধীনতা সংগ্রামের এই ইতিহাসে নেতাজী সুভাষচন্দ্র বসু, দেশবন্ধু চিত্তরঞ্জন দাশ, প্রফুল্ল চাকী, ক্ষুদিরাম বসু, ঋষি অরবিন্দ, বারীন ঘোষ, শ্রীশচন্দ্র ঘোষ, কানাইলাল দত্ত, সত্যেন বসু, বিনয়, বাদল, দীনেশ সহ আরও অনেক নাম ওতপ্রোতভাবে জড়িত। তবে এই সংগ্রামের অনেককিছুই এখনও পর্দায় ফুটে উঠেনি। তেমনই কিছু অজানা গল্প নিয়েই এবার সিনেমা বানাচ্ছেন পরিচালক পরমব্রত চট্টোপাধ্যায়। ছবির নাম ‘বারুদ ও আদালত’।

সোমবার (১৫ আগস্ট) নিজের নতুন সিনেমার ঘোষণা দিয়েছেন পরমব্রত চট্টোপাধ্যায়। ছবির নাম ঘোষণার সঙ্গে ফেসবুকে পরমব্রত লেখেন, ‘ভারতের স্বাধীনতার লড়াইয়ে বাংলা ও বাঙালির অবদানের এক গুরুত্ত্বপূর্ণ কিন্তু অপেক্ষাকৃতভাবে কম চর্চিত অধ্যায়ের কথা বলবে আমাদের এই ছবি, এমনটাই উদ্দেশ্য। আজকের বিশেষ দিনে এই ঘোষণা করতে পেরে, আমরা আনন্দিত, গর্বিত! বড় পর্দায় দেখা হবে ১৫ই অগাস্ট ২০২৩ এ! স্বাধীনতা দিবসের শুভেচ্ছা ও আলিঙ্গন সবাইকে!’ এর সঙ্গে ছোট্ট একটি টিজারও শেয়ার করেন অভিনেতা। যে ভিডিওতে উঠে আসে টুকরো টুকরো কিছু ছবির কোলাজ। যেখানে দেখা যায় অমৃতবাজার পত্রিকা, যুগান্তরের মতো সেসময়কার কিছু নামী সংবাদপত্র, যেখানে বাঙালি স্বাধীনতা সংগ্রামীদের কর্মকাণ্ড উঠে এসেছিল। সঙ্গে উঠে আসে দেশবন্ধু চিত্তরঞ্জন দাশ, ঋষি অরবিন্দ এবং গ্রেফতারের আগের মুহূর্তে তোলা কানাইলাল দত্ত, সত্য়েন বসুর ছবি। হ্যাশট্য়াগে দেওয়া হয়েছে ‘অরবিন্দ ঘোষ’, ‘দেশবন্ধু চিত্তরঞ্জন দাশ’, আর ‘আলিপুর বোমা মামলা’। বোঝা যায়, পরমব্রতর সিনেমাটিতে উঠে আসবে ১৯০৮ -১৯০৯ পর্যন্ত চলা আলিপুর বোমা মামলার কথা। আবার টিজারে রয়েছে কানাইলাল দত্তের ছবি, যাঁর নাম জড়িয়েছিল কিংসফোর্ড হত্যা মামলায়।

৩০ এপ্রিল ১৯০৮ সালে মুজাফফরপুর, বিহারে রাত সাড়ে আটটায় ইউরোপিয়ান ক্লাবের সামনে বোমা ছুড়ে তিনজনকে হত্যা করেন ক্ষুদিরাম বসু। সেই ঘটনার পরা এই মামলা শুরু হয়। আবার ৩০ এপ্রিল, বোমা হামলার ঘটনার পরে ২ মে ৩২ নং মুরারীপুকুরের বাগানবাড়ি তল্লাশি করে পুলিশ বোমার কারখানা খুঁজে পায়। পরে মামলা শুরু হয় ২১ মে ১৯০৮ তারিখে। ১৯০৯ সালের ৬ মে আলিপুর বোমা হামলার মামলার রায় দেওয়া হয়। রায়ে বিচারক বারীন্দ্রকুমার ঘোষ ও উল্লাসকর দত্তকে মৃত্যুদণ্ড দেন। উপেন্দ্র বন্দ্যোপাধ্যায়, হেমচন্দ্র কানুনগো, বিভূতিভূষণ সরকার, বীরেন্দ্র সেন, সুধীর ঘোষ, ইন্দ্রনাথ নন্দী, অবিনাশচন্দ্র ভট্টাচার্য, শৈলেন্দ্রনাথ বসু, হৃষিকেশ কাঞ্জিলাল, ইন্দুভূষণ রায়ের জেল হয়। পরেশ মৌলিক, শিশির ঘোষ, নিরাপদ রায় ১০ বছর জেল, অশোক নন্দী, বালকৃষ্ণ হরিকোণে, শিশির কুমার সেনের ৭ বছর এবং কৃষ্ণজীবন সান্যালের ১ বছর কারাদণ্ড হয়। পরে আপিলে বারীন্দ্রকুমার ঘোষ ও উল্লাসকর দত্তের মৃত্যুদণ্ড রহিত হয়, বদলে যাবজ্জীবন  রায় হয়। তবে অরবিন্দ ঘোষ মুক্তি পান এবং অনেকের সাজা হ্রাস করা হয়। স্বাধীনতার ইতিহাসের সেই সব ঘটনায় পরমব্রতর ছবিতে উঠে আসবে বলে টিজার দেখে অনুমান করা যায়।

এর আগে পরমব্রতর পরিচালনায় ‘তিতিকাকা’, ‘অভিযান’-এর মতো প্রশংসিত ছবি।

খালেদা জিয়া বড় দুঃসময়ে বিদায় নিলেন: জয়া আহসান

খালেদা জিয়ার মৃত্যুতে শোবিজ তারকাদের শোক

চলে গেলেন ‘নারী স্বাধীনতার প্রতীক’ ব্রিজিত বার্দো

আবার শুরু হচ্ছে ‘প্রীতিলতা’ সিনেমার শুটিং

আরব সিনেমার উত্থানের বছর

নতুন বছরের শুরুতে আসছে ইমনের সিনেমা

দেশে মুক্তি পেল হলিউডের দুই সিনেমা

গল্প চুরির অভিযোগ অস্কারে মনোনীত ‘হোমবাউন্ড’ সিনেমার বিরুদ্ধে

ছয় বছর পর অংশুর পরিচালনায় সুনেরাহ, আরশের সঙ্গে তোলা ছবি নিয়ে গুঞ্জন

ট্রেলারেই ঝড় তুলল নোলানের ‘দ্য ওডিসি’