২ হাজার ৩০০ একরের সবুজ পাহাড়ে ঘেরা দৃষ্টিনন্দন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাস। এ ক্যাম্পাসে আছে ঝুলন্ত সেতু, লক্ষাধিক বইয়ের সুবিশাল গ্রন্থাগার, পাহাড়ি ঝরনা, কাটা পাহাড় রোড, টেলিটক পাহাড়, চালন্দা গিরিপথ। এ ছাড়া বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের যাতায়াতের সুবিধার জন্য রয়েছে শাটল ট্রেন। নেই শুধু টিচার স্টুডেন্ট সেন্টার বা টিএসসি।
মুক্তবুদ্ধি চর্চা, সৃজনশীলতা ও মানবিক মূল্যবোধের বিকাশে বহুমাত্রিক ভূমিকা রাখছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়সহ অন্যান্য স্বায়ত্তশাসিত বিশ্ববিদ্যালয়ের সামাজিক, সাংস্কৃতিক ও মানবিক সংগঠনগুলো। নব্বইয়ের দশকের শুরু থেকে নানামুখী এসব সংগঠনের উন্মেষ ঘটে এই বিশ্ববিদ্যালয়ে। গত চার দশক পেরিয়ে বর্তমানে বহু সংগঠন গড়ে উঠেছে বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর ছাত্র শিক্ষক কেন্দ্রসহ ক্যাম্পাসজুড়ে।
সে দিক থেকে পিছিয়ে আছে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়। এ বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষার্থীরা বিভিন্ন ধরনের সংগঠন তৈরি করেছেন। কিন্তু সেগুলোর নিয়মিত অনুশীলনের নির্দিষ্ট জায়গা নেই। বিভিন্ন জায়গায় সংগঠনগুলো নিজেদের নিয়মিত অনুশীলনের কাজ চালিয়ে যাচ্ছে।
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে টিএসসি প্রতিষ্ঠিত হলে তা শিক্ষার্থীদের মুক্তবুদ্ধি চর্চা, সৃজনশীলতা ও মানবিক মূল্যবোধের বিকাশে বহুমাত্রিক ভূমিকা রাখতে পারবে। টিএসসি একটি প্রশাসনিক ইউনিট বলে বিশ্ববিদ্যালয়টির শিক্ষার্থীদের সৃজনশীল ও মননশীল হয়ে ওঠার একটি ধারাবাহিক প্রক্রিয়া তৈরি হবে। এ প্রক্রিয়া দেশের অন্যান্য বিশ্ববিদ্যালয়সহ বিশ্বের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয় ও প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে যোগাযোগের পথ তৈরি করবে, যা থেকে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় এখনো বঞ্চিত।
বিশ্ববিদ্যালয়ের মূল ফটকের সামনে কমফোর্ট সেন্টার ও তথ্যকেন্দ্র তৈরি করা হচ্ছে। অথচ সেগুলোর আগে এখানে টিএসসির প্রয়োজন।
মাহমুদ হাসান শিমুল, আইন বিভাগ, ৩য় বর্ষ, চবি