ক্লাস, প্রেজেন্টেশন, পরীক্ষা—এই বৃত্তাকার শিক্ষার্থী জীবনের বেড়াজাল থেকে মুক্তি পেতে শুরু হয় বিইউপি লিটারেচার অ্যান্ড ড্রামা ক্লাবের পথচলা।
ক্লাবের যাত্রাটা প্রায় এক যুগের পুরোনো। ২০১২ সালে বিইউপি লিটারেচার ও বিইউপি ডিবেটিং ক্লাব নামে দুটো ক্লাব আলাদাভাবে যাত্রা শুরু করে। তিন বছর পর ২০১৫ সালে তারা একত্র হয়ে তৈরি করে বিইউপি লিটারেচার অ্যান্ড ডিবেটিং ক্লাব। আবার ২০১৮ সালে ক্লাবটির যাত্রা শুরু হয় বিইউপি লিটারেচার ক্লাব নামে। এরপর ২০১৯ সালে এক নতুন নামে, নতুন আঙ্গিকে যাত্রা শুরু হয় বিইউপি লিটারেচার অ্যান্ড ড্রামা ক্লাবের। সেই থেকে এগিয়ে চলছে ক্লাবটির কার্যক্রম।
নাম শুনে বোঝা যাচ্ছে, ক্লাবের কর্মকাণ্ড চলে সাহিত্য ও নাট্যচর্চাকে ঘিরে। এর বর্তমান সভাপতি নোশিন তাবাসসুম শিফা। চিন্তার পরিধি বাড়াতে সাহিত্যের বিকল্প নেই বলে মনে করেন তিনি। সাহিত্যচর্চার মাধ্যমে শিক্ষার্থী জীবনে পরিতৃপ্তি এবং পরিপূর্ণতা নিয়ে আসাই বিইউপি লিটারেচার অ্যান্ড ড্রামা ক্লাবের লক্ষ্য। এক টানা ক্লাসের মাঝে একটু মুক্তির আনন্দ আনতে ক্লাব একেক সময় একেক উৎসবের আয়োজন করে থাকে। এই যেমন বর্ষা উৎসব। এ ছাড়া করোনা মহামারির দীর্ঘ বিরতির পর ক্লাবটি রবীন্দ্রসন্ধ্যা, উপস্থাপনা প্রতিযোগিতা ও লিট ফেস্টের আয়োজন করে। লিট ফেস্ট জাতীয় পর্যায়ে আয়োজিত হয়। এর আগে অনুষ্ঠিত হয়েছে বাংলা নববর্ষ। সেখানে গীতিনাট্য প্রদর্শন করা হয়।
‘লিটক্রুটমেন্ট’-এর মাধ্যমে তিন ধাপে বিইউপি লিটারেচার অ্যান্ড ড্রামা ক্লাবের জন্য সদস্য বাছাই করা হয়। ফেসবুকের ইভেন্ট পেজে দেওয়া গুগল ফরম পূরণের মাধ্যমে প্রথম ধাপ সম্পন্ন করা হয়। ফরমে থাকা প্রশ্নগুলোর উত্তরের মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের আগ্রহ, দক্ষতা বা প্রতিভা জানার চেষ্টা করা হয়। দ্বিতীয় ধাপে তাঁদের সাহিত্য ও নাট্যকলা নিয়ে কিছু প্রশ্ন দেওয়া হয়। সেগুলোর মধ্য থেকে যাচাই-বাছাই করে সাক্ষাৎকার, অর্থাৎ তৃতীয় পর্বের জন্য নির্বাচিত করা হয়। সেখানে তাদের দলগত কাজ করার মানসিকতার পাশাপাশি যোগাযোগ-দক্ষতা ও সময়জ্ঞান যাচাই করা হয়। সবশেষে কেউ যদি নাচ, গান, অভিনয় বা গল্প বলায় পারদর্শী হন, তাহলে তাঁকে উপস্থিত পরিবেশনার জন্য অনুরোধ করা হয়।
ক্লাব মডারেটর সুমাইতা মারজান। তিনি জানিয়েছেন, নিজ নিজ সত্তাকে বিকশিত করার জন্য বিইউপি লিটারেচার অ্যান্ড ড্রামা ক্লাব কাজ করছে। সাহিত্যপ্রেমী ও সংস্কৃতিমনা তরুণদের হাত ধরে ক্লাবটি কাজ করে যাচ্ছে।