ট্রফিটা বেশ বড়। হাতে ধরে রাখতে কষ্ট হচ্ছিল। একপর্যায়ে বললাম, ‘তোমার তো কষ্ট হচ্ছে ধরে রাখতে।’ পাশ থেকে ওর স্যার আশরাফুল ইসলাম খান হেসে বললেন, ‘ওর কোনো কষ্ট নেই।’ তা হয়তো ঠিক। কষ্ট থাকলে এত অর্জন সম্ভব হতো না। বলছিলাম একজন খুদে ফুটবলারের কথা। ১১ বছর বয়সী এই খুদে ফুটবলারের নাম শান্তা বিশ্বাস। শান্তার সাফল্যের ঝুলি বেশ সমৃদ্ধ। এই বয়সে অন্তত ১৫ বার হয়েছে ম্যাচসেরা। বঙ্গমাতা ফজিলাতুন্নেছা মুজিব গোল্ডকাপ টুর্নামেন্টে উপজেলা পর্যায়ে সে হয়েছে সেরা খেলোয়াড়। পেয়েছে সেরা গোলদাতা ও সর্বোচ্চ গোলদাতার খেতাব। জেলা পর্যায়ে ২৯ গোল করে সেরা খেলোয়াড়ের পুরস্কার তার হাতে।
শান্তা বিশ্বাস যশোরের ঝিকরগাছা উপজেলার বেনেয়ালী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পঞ্চম শ্রেণির ছাত্রী। তার পায়ের জাদুতে ইউনিয়ন, উপজেলা ও জেলা চ্যাম্পিয়ন হয়েছে বিদ্যালয়টি।
শান্তার প্রশিক্ষক ও বিদ্যালয়ের শিক্ষক মো. আশরাফুল ইসলাম খান জানান, ২০২২ ও ২০২৩ সালে বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব গোল্ডকাপ টুর্নামেন্টে বিদ্যালয়ের বালিকা দলে খেলে প্রতিটি ম্যাচে আলো ছড়িয়েছিল শান্তা। এবার তো উপজেলা ও জেলা পর্যায়ে দলকে চ্যাম্পিয়ন করেছে তার দল। প্রাথমিক বিদ্যালয়ে গোল্ডকাপ ফুটবল টুর্নামেন্ট (বালিকা) ২০২৪-এ জেলা পর্যায়ের ফাইনালে ৪ গোল, সেমিফাইনালে ৬ গোলসহ এই আসরে সে ২৯ গোল করেছে।