হোম > অর্থনীতি

আর্থিক প্রতিষ্ঠানেও আস্থা নেই গ্রাহকদের

জয়নাল আবেদীন খান, ঢাকা

অনিয়ম আর অব্যবস্থাপনায় রীতিমতো খুঁড়িয়ে চলছে নন-ব্যাংক আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলো (এনবিএফআই)। কোনো কোনো প্রতিষ্ঠানের খেলাপি ঋণ ৯০ শতাংশ অতিক্রম করেছে। এতে দুর্বল হয়ে পড়েছে আর্থিক ভিত্তি। অনেক প্রতিষ্ঠান গ্রাহকের টাকাও ফেরত দিতে পারছে না। এর প্রভাবে গ্রাহকদের আস্থা কমে গেছে। ফলে মুখ ফিরিয়ে নিচ্ছেন আমানতকারীরা। সর্বশেষ চলতি বছরের জুন প্রান্তিকে ৪৭ হাজার আমানতকারী আর্থিক প্রতিষ্ঠান ছেড়ে চলে গেছেন। বাংলাদেশ ব্যাংকের হালনাগাদ প্রতিবেদন থেকে এসব তথ্য জানা গেছে।

কেন্দ্রীয় ব্যাংকের প্রতিবেদন অনুযায়ী, চলতি বছরের মার্চ শেষে দেশের আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোর আমানতকারীর সংখ্যা ছিল ৪ লাখ ২৭ হাজার ৩৪১ জন, আর জুন শেষে আমানতকারীর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৩ লাখ ৭৯ হাজার ৭৩৭ জন। সেই হিসাবে তিন মাসে আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোর আমানতকারীর সংখ্যা কমেছে ৪৭ হাজার ৬০৪ জন। তবে চলতি বছরের দ্বিতীয় প্রান্তিক (এপ্রিল-জুন) শেষে আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোর আমানত দাঁড়িয়েছে ৪৫ হাজার ১১৬ কোটি ৮ লাখ টাকা। আর প্রথম প্রান্তিক (জানুয়ারি-মার্চ) শেষে আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোর আমানত ছিল ৪৪ হাজার ৩০৪ কোটি ৬৯ লাখ টাকা। সেই হিসাবে তিন মাসে আমানত বেড়েছে ৮ হাজার ১১৩ কোটি ৯ লাখ টাকা।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোর সংগঠন বাংলাদেশ লিজিং অ্যান্ড ফাইন্যান্স কোম্পানিজ অ্যাসোসিয়েশনের (বিএলএফসিএ) চেয়ারম্যান মো. গোলাম সরওয়ার ভূঁইয়া বলেন, জুন প্রান্তিকে আমানতকারীর সংখ্যা কমেছে। আসলে এ সময়ে সরকারের বিল-বন্ডের সুদহার বেশি থাকায় আমানতকারীরা আর্থিক প্রতিষ্ঠান থেকে তাঁদের আমানত তুলে সেখানে রেখেছেন। মানুষ তো টাকা রাখে লাভের জন্য, যেখানে বেশি লাভ পাবেন সেখানেই তো তাঁরা যাবেন। নানা অনিয়মের কারণে মানুষ আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোর ওপর থেকে আস্থা হারিয়ে ফেলছেন। কেউ কেউ আমানত তুলে নিচ্ছেন। সবকিছুর মূলে আস্থারসংকট কাজ করছে। গ্রাহকের আস্থা ফেরাতে চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে।

প্রতিবেদন অনুযায়ী, ২০২৪ সালের মার্চ শেষে আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোর ঋণ বিতরণের স্থিতি ছিল ৭৪ হাজার ৫২৯ কোটি ৭৬ লাখ টাকা। আর তিন মাস পর (এপ্রিল-জুন) আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোর ঋণের স্থিতি দাঁড়িয়েছে ৭৪ হাজার ৯১৮ কোটি ৪১ লাখ টাকা।

একটি আর্থিক প্রতিষ্ঠানের ব্যবস্থাপনা পরিচালক জানান, ঋণ জালিয়াতিসহ নানা অনিয়মের কারণে বেশ কিছু আর্থিক প্রতিষ্ঠান দুর্বল হয়ে পড়েছে। এসব কারণে সাধারণ মানুষও এখন আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোতে আমানত রাখতে ভয় পান। যে কারণে প্রতি মাসেই আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোর আমানতকারীর সংখ্যা কমছে। বাংলাদেশ ব্যাংকের পক্ষ থেকে যেভাবে তদারকি করার দরকার ছিল, তাও যথাযথভাবে হচ্ছে না। এখন গ্রাহকদের আস্থা ফেরাতে বাংলাদেশ ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোর যৌথ উদ্যোগ জরুরি।

প্রতিবেদন অনুযয়ী, জুন প্রান্তিকে সবচেয়ে বেশি আমানত কমেছে চট্টগ্রাম বিভাগে। চলতি বছরের মার্চ শেষে এ বিভাগে আমানত ছিল ২১ হাজার ৭৩৫ কোটি ২ লাখ টাকা। আর জুন শেষে এ বিভাগের আমানত দাঁড়িয়েছে ২০ হাজার ৬৪৪ কোটি টাকা। আমানত কমার দিক থেকে দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছে খুলনা বিভাগ। এ বিভাগে জুন শেষে আমানত দাঁড়িয়েছে ৩ হাজার ৪৭১ কোটি ৮ লাখ টাকা। আর মার্চ শেষে এ বিভাগে আমানত ছিল ৩ হাজার ৫৪০ কোটি ৭ লাখ টাকা। সে হিসাবে তিন মাসে খুলনা বিভাগে আমানত কমেছে ৬৮৯ কোটি টাকা।

সেরা ফিল্ড ফোর্সদের বিশেষ সম্মাননা দিল নগদ

ইনফরমেশন হেল্প ডেস্ক চালু করল ডিএসই

ট্রাভেল ও ট্যুরিজম অ্যাওয়ার্ড: লিড স্পনসর ‘গ্যালাক্সি’, হসপিটালিটি পার্টনার ইন্টারকন্টিনেন্টাল ঢাকা

ভারত থেকে আসা পণ্যবাহী ট্রাকের চলাচল নজরদারি করবে এনবিআর

ওয়ালটনের প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান নজরুল ইসলামের অষ্টম মৃত্যুবার্ষিকী পালিত

রেমিট্যান্স সংগ্রহে অভাবনীয় সাফল্য অর্জন জনতা ব্যাংকের

রেমিট্যান্স অ্যাওয়ার্ড পেয়েছে ইসলামী ব্যাংক

২০ কোটি টাকার বেশি সব ঋণ ফের যাচাই করা হবে: গভর্নর

একীভূত পাঁচ ব্যাংকের নামের সাইনবোর্ড বদলাচ্ছে আজ-কালের মধ্যেই: গভর্নর

সীমাবদ্ধতার মাঝেও সাফল্যের গল্প