কোটা সংস্কারের দাবিতে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীর ডাকা কমপ্লিট শাটডাউনে অংশ নেন হবিগঞ্জের শিক্ষার্থীরা। আজ বৃহস্পতিবার সকাল থেকেই শিক্ষার্থী ও পুলিশের মধ্যে বিভিন্ন পয়েন্টে সংঘর্ষ শুরু হয়।
আজ দুপুর ১২টা থেকে এই রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত শহরের মুসলিম কোয়ার্টার থেকে সদর মডেল জেলা প্রশাসনের কার্যালয়ে সামন পর্যন্ত সংঘর্ষ চলছিল। এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত দুজনকে আটক করতে দেখা গেছে। এখন পর্যন্ত সংঘর্ষে পুলিশসহ শতাধিক আহত হয়েছে।
পুলিশ জানায়, প্রায় ১ হাজার ২০০ রাবার বুলেট ও কাঁদানে গ্যাস নিক্ষেপ করেছে পুলিশ। হবিগঞ্জ ডিবি পুলিশের সেকেন্ড অফিসার রফিকুল ইসলামসহ বেশ কয়েকজন পুলিশ আহত হয়েছেন।
স্থানীয় ও প্রত্যক্ষদর্শী সূত্র জানায়, দুপুর ১২টার দিকে হবিগঞ্জ সদর মডেল থানার সামনে দিয়ে সাধারণ শিক্ষার্থীদের একটি মিছিল যাওয়ার সময় পুলিশ ধাওয়া দিলে সংঘর্ষ শুরু হয়। এ সময় শিক্ষার্থীরাও ইট-পাটকেল ছুড়ে পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষে জড়ায়। পুলিশ মুহুর্মুহু গুলি ও কাঁদানে গ্যাস নিক্ষেপ করে। সংঘর্ষে পুলিশ ও আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের পাল্টাপাল্টি ধাওয়া সাংবাদিকসহ উভয় পক্ষের কয়েকজন আহত হন।
ঘটনাস্থলে গিয়ে দেখা গেছে, হবিগঞ্জ সদর সার্কেলের এএসপি খলিলুর রহমানের নেতৃত্বে পুলিশ শিক্ষার্থীদের ছত্রভঙ্গ করতে কাঁদানে গ্যাস ও রাবার বুলেট নিক্ষেপ করছে। সাঁজোয়া যান এপিবিএন সবার সামনে রয়েছে। একপর্যায়ে পুলিশের সঙ্গে বিজিবি ও র্যাব যোগ দিয়েছে।
একপর্যায়ে ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীরা স্থান ত্যাগ করতে বাধ্য হন। পরে সাধারণ শিক্ষার্থীরা পুলিশের ব্যারিকেড ভেঙে মিছিল করেন। বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে হবিগঞ্জ শহরের পুরো রাস্তায় আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের দেখা যায়।