হোম > সারা দেশ > হবিগঞ্জ

ধানের দামে হতাশ কৃষক

কাজল সরকার, হবিগঞ্জ

চলতি বোরো মৌসুমে ধানের দাম না পাওয়ায় হতাশ হবিগঞ্জের কৃষকেরা। মাত্র ৬৫০ থেকে ৭৫০ টাকা মণে ধান কিনছেন পাইকাররা। কৃষকদের দাবি, এই দামে ধান বিক্রি করে তাঁদের খরচই উঠছে না।

অন্যদিকে, বোরো মৌসুম প্রায় শেষ হওয়ার পথে থাকলেও সরকারিভাবে ধান সংগ্রহ শুরু হয়নি, যে কারণে সরকার ১ হাজার ৮০ টাকা দরে ধান কিনলেও বিক্রি করতে পারছেন না চাষিরা। এ ছাড়া সরকারের কাছে ধান বিক্রি করতেও পোহাতে হচ্ছে নানা ঝক্কি-ঝামেলা।

কৃষকেরা জানান, ধান লাগানো থেকে শুরু করে সার-ওষুধ-কীটনাশক বা কাটা পর্যন্ত প্রতি ক্ষেরে (৩২ শতকে এক ক্ষের) কৃষকের খরচ হয়েছে ১১-১২ হাজার টাকা। ধান উৎপাদন হয়েছে ১৪-১৫ মণ। এখন তা বিক্রি হচ্ছে ৬৫০ থেকে ৭৫০ টাকা মণ। সেই হিসাবে প্রতি ক্ষেরে কৃষককে লোকসান গুনতে হচ্ছে ৫০০ থেকে ১ হাজার টাকা। এর সঙ্গে পরিবারের সদস্যদের শ্রম তো রয়েছেই। ধানের দামের এমন অবস্থায় দিশেহারা হবিগঞ্জের চাষিরা।

জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের তথ্যমতে, চলতি বোরো মৌসুমে হবিগঞ্জে ১ লাখ ২০ হাজার ৫৭০ হেক্টর জমিতে বোরো আবাদ হয়েছে। এখন পর্যন্ত জেলায় মোট ৬২ শতাংশ এবং হাওরের ৯৯ শতাংশ ধান কাটা হয়েছে।

এদিকে সরকার কৃষকের কাছ থেকে ১ হাজার ৮০ টাকা মণ দরে ধান কেনার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। গত ২৮ এপ্রিল হবিগঞ্জে এই কার্যক্রমের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন হয়েছে। অথচ উদ্বোধনের দিন তিন টন ধান কেনা হলেও এরপর আর কোনো ধান কেনা হয়নি। এতে ধান গোলায় থাকার কারণে সেই সুফল থেকেও বঞ্চিত হচ্ছেন কৃষকেরা। 

লাখাই উপজেলার বুল্লা গ্রামের কৃষক মো. শরিফ উদ্দিন বলেন, ‘আমি প্রায় ২০ ক্ষের জমি করেছি। এ বছর তেমন ফলন হয়নি। প্রতি ক্ষেরে ২০ মণের জায়গায় উৎপাদন হয়েছে ১৭-১৮ মণ ধান। বাজারে বিক্রি হচ্ছে ভেজা ধান ৬৫০ এবং শুকনো ধান ৭৫০ টাকা মণ। অথচ প্রতি মণ ধান উৎপাদনে আমাদের খরচই আছে ৭০০ টাকার ওপরে। অন্য বছর সরকার ধান কিনত, কিন্তু এ বছর সরকার থেকে কোনো সাড়াশব্দ নেই। আবার সরকারের কাছে ধান বিক্রি করেও লাভ নেই। কারণ সরকারকে ধান একেবারে ভালো করে শুকিয়ে গুদামে নিয়ে দিতে হয়। এতে পরিবহন খরচ বেড়ে যায়।’ 

একই উপজেলার পূর্ব বুল্লা গ্রামের কৃষক জাহির উদ্দিন বলেন, ‘ধান চাষ করি আমরা লাভের আশায়। কিন্তু সারা বছর পরিশ্রম করেও কোনো লাভ নেই। দুনিয়ার সবকিছুর দাম বাড়ে, কিন্তু ধানের দাম বাড়ে না। সরকারের কাছে আমরা ধান বেচতে পারি না। বড় বড় নেতাদের কাছ থেকে তাঁরা ধান নেন। আমরা ধান নিয়া গেলে বিভিন্ন সমস্যা দেখিয়ে ফিরিয়ে দেন।’ 

জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা চাই থোয়াই প্রু মারমা জানান, এবার হবিগঞ্জে ১৬ হাজার ২০৬ মেট্রিকটন ধান কনা হবে। গত ২৮ এপ্রিল এই কার্যক্রমের উদ্বোধন হয়েছে। ঈদের ছুটির কারণে পুরোপুরিভাবে ধান সংগ্রহ শুরু করতে কিছুটা বিলম্ব হচ্ছে। তবে খুব শিগগিরই তা শুরু করা হবে।’

জৈন্তাপুরে সাড়ে ১৬ হাজার ঘনফুট বালু জব্দ, নিলামে বিক্রি

মৌলভীবাজারে আ.লীগের ৯ নেতা-কর্মী গ্রেপ্তার

সিলেট সীমান্তে খাসিয়াদের গুলিতে ২ জন নিহত

সিলেটে প্রথম আলো অফিসের সাইনবোর্ড, গ্লাস ভাঙচুর

কোন্দলই বিএনপির বড় সংকট

সিলেটে দুই মোটরসাইকেলের সংঘর্ষে নিহত তিন

হত্যা মামলায় বিয়ানীবাজার পৌর আ. লীগ সভাপতি গ্রেপ্তার

সিলেটে যেসব এলাকায় ১০ ঘণ্টা বিদ্যুৎ থাকবে না বুধবার

চবি উপ-উপাচার্যের পদে থাকার নৈতিক অধিকার নেই: নাছির উদ্দীন

শাকসু নির্বাচন: ছাত্রদলের ২২ সদস্যের প্যানেল ঘোষণা, নারী প্রার্থী একজন ও মুক্তিযুদ্ধ সম্পাদক পদ ফাঁকা