গত চারবারের তুলনায় এবার নিরুত্তাপ সিলেট সিটি করপোরেশন (সিসিক) নির্বাচনের ভোট গ্রহণ শেষ হয়েছে। আজ বুধবার সকাল ৮টায় এই সিটির নির্বাচনের ভোট গ্রহণ শুরু হয়। শেষ হয় বিকেল সাড়ে ৫টার পর। ভোট গ্রহণের সময় কোথাও কোনো ধরনের অপ্রীতিকর ঘটনার খবর পাওয়া যায়নি।
কয়েকটি কেন্দ্রে নির্ধারিত সময়ের পরও ভোট গ্রহণ চলে। যাঁরা ভোটকেন্দ্রের ভেতরে ৪টার আগে ঢুকেছেন কিন্তু ভোট দেওয়া বাকি ছিলেন, তাঁদের ভোট দিতে বিকেল সাড়ে ৫টার মতো বেজে যায়। এর মধ্যে তেমুখি এলাকার রাশিদিয়া দাখিল মাদ্রাসা ও দক্ষিণ সুরমার মহালক্ষ্মী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় দুটি কেন্দ্র রয়েছে। মহালক্ষ্মী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রের প্রিসাইডিং অফিসার হাবিবুর রহমান ৪টা ৬ মিনিটে বলেন, ‘এটি সবচেয়ে বড় কেন্দ্র, ভোটার সংখ্যা ৪ হাজার ২৮৮। এই কেন্দ্রে ৫০ শতাংশ ভোট পড়েছে। এখনো প্রায় শতাধিক ভোটার লাইনে দাঁড়িয়ে আছেন। আমরা তাঁদের ভোট গ্রহণ করব। আশা করি, ৫টার মধ্যে শেষ হবে।’
বিকেল ৫টা ৫০ মিনিটে সিলেটের অতিরিক্ত আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তা ও সিটি নির্বাচনের সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা তারেক আহমেদ বলেন, ‘কিছুক্ষণ আগে সব কেন্দ্রের ভোট গ্রহণ সমাপ্ত হয়েছে। এখন গণনা শুরু।’
নির্বাচন কমিশনের তথ্য অনুযায়ী সিলেট সিটিতে ১৯০টি ভোটকেন্দ্রের ১ হাজার ৩৬৭টি ভোটকক্ষে ৪ লাখ ৪৭ হাজার ৭৫৩ জন ভোটার। এঁদের মধ্যে পুরুষ ভোটার রয়েছেন ২ লাখ ৫৪ হাজার ২৩৬ জন; নারী ভোটার ২ লাখ ৩৩ হাজার ৩৮৭ জন এবং ৬ জন তৃতীয় লিঙ্গের ভোটার রয়েছেন।
সিলেট সিটিতে মেয়র পদে ৮ জন, ৪২টি সাধারণ ওয়ার্ড কাউন্সিলর পদে ২৭৩ জন এবং ১২টি সংরক্ষিত ওয়ার্ড কাউন্সিলর পদে ৮৬ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।
নির্বাচনের মেয়র প্রার্থীরা হলেন জাতীয় পার্টির মো. নজরুল ইসলাম বাবুল, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের মাহমুদুল হাসান (ভোট বর্জন করেছেন), আওয়ামী লীগের মো. আনোয়ারুজ্জামান চৌধুরী, জাকের পার্টির মো. জহিরুল আলম, স্বতন্ত্র মো. আব্দুল হানিফ, মো. ছালাহ উদ্দিন রিমন, মো. শাহ জাহান মিয়া ও মোশতাক আহমেদ রউফ মোস্তফা।
আজ সকাল থেকেই ভোটকেন্দ্রগুলোয় ভোটারদের উপস্থিতি দেখা গেছে। তাঁদের মধ্যে উৎসাহ-উদ্দীপনাও ছিল বেশ। নগরে নতুন যুক্ত হওয়া ওয়ার্ডগুলোতে ভোটারদের আগ্রহ ছিল বেশি। তাই সেখানে ভোটার উপস্থিতি ছিল চোখে পড়ার মতো। তবে বেশির ভাগ কেন্দ্রে ভোটাররা ইভিএমের ধীর গতির অভিযোগ করেছেন।