শেভরন বাংলাদেশ পরিচালিত হবিগঞ্জের বিবিয়ানা ও সিলেটের জালালাবাদ গ্যাস প্ল্যান্ট পরিদর্শন করেছেন জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিভাগের (ইএমআরডি) সচিব মো. নুরুল আলম। আজ শনিবার শেভরন বাংলাদেশের প্রেসিডেন্ট ও ব্যবস্থাপনা পরিচালক এরিক এম ওয়াকার খনিজ সম্পদ বিভাগের প্রতিনিধি দলকে উষ্ণ অভ্যর্থনা জানান।
পরিদর্শনে তাঁর সঙ্গে ছিলেন জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিভাগের অতিরিক্ত সচিব মো. হুমায়ুন কবির, যুগ্ম সচিব মো. মোরশেদা ফেরদৌস এবং সচিবের ব্যক্তিগত সহকারী শাহরিয়ার আল-কবীর সিদ্দিকী।
ওয়াকারের সঙ্গে প্রতিনিধিদল গ্যাস প্ল্যান্ট প্রক্রিয়াকরণ সুবিধাগুলো পরিদর্শন করেন, প্ল্যান্টে বাস্তবায়িত অপারেশন, সুরক্ষা ব্যবস্থা এবং প্রযুক্তিগত অগ্রগতি সম্পর্কে একটি সার্বিক ধারণা লাভ করেন। পরিদর্শনকালে আরও উপস্থিত ছিলেন বিবিয়ানা ও জালালাবাদ গ্যাস প্ল্যান্টের অপারেশনস ডিরেক্টর রায়ান এম ওট, করপোরেট অ্যাফেয়ার্স ডিরেক্টর মুহাম্মদ ইমরুল কবির এবং গ্যাস প্ল্যান্ট সুপারিনটেনডেন্টরা।
গত ৩০ বছরে বাংলাদেশে শেভরন এর কার্যক্রম ও উল্লেখযোগ্য সাফল্যের কথা উল্লেখ করে সচিব মো. নুরুল আলম শেভরন বাংলাদেশকে শুভেচ্ছা জানান। তিনি দেশে সাশ্রয়ী, নিরাপদ এবং নির্ভরযোগ্য জ্বালানি সরবরাহে কোম্পানির নিরবচ্ছিন্ন সহায়তার কথাও তুলে ধরেন।
সচিব আলম বলেন, ‘আমাদের জ্বালানি খাতে শেভরন বাংলাদেশ যে অগ্রগতি সাধন করেছে তা প্রশংসনীয়। সুষ্ঠু ও সংগঠিত কার্যক্রম এবং টেকসই অনুশীলনের প্রতি প্রতিশ্রুতি তাদের কাজের মধ্যে স্পষ্ট। আমরা বাংলাদেশের জ্বালানি খাতে তাদের আরও প্রসারিত ও নিরবচ্ছিন্ন অবদান প্রত্যাশা করছি।’
প্রবৃদ্ধি ও টেকসই উন্নয়নের প্রতি গুরুত্ব দেওয়ার লক্ষ্যে সচিব মো. নুরুল আলম বিবিয়ানা গ্যাস প্ল্যান্টে আয়োজিত বৃক্ষরোপণ অনুষ্ঠানেও অংশ নেন। এই সফরে জ্বালানি খাতের মূল স্টেকহোল্ডারদের সঙ্গে দৃঢ় সম্পর্ক গড়ে তোলার জন্য সরকারের প্রতিশ্রুতির ওপর জোর দেওয়া হয়।
দেশের জ্বালানি নিরাপত্তা এবং অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধিতে অবদান রাখে এমন উদ্যোগের জন্য সরকারের সমর্থনকেও নিশ্চিত করা হয়েছে এই সফরে। সফরটি বাংলাদেশ সরকার এবং শেভরন বাংলাদেশের মধ্যে চলমান সহযোগিতামূলক অংশীদারত্বের একটি উল্লেখযোগ্য মাইলফলক হিসেবে চিহ্নিত করে, যা দেশের জ্বালানি খাতের উজ্জ্বল ভবিষ্যতের প্রতিশ্রুতি প্রদান করে।