হোম > সারা দেশ > হবিগঞ্জ

শিক্ষক-কমিটির দ্বন্দ্বের ফেরে ১০১ শিশুশিক্ষার্থী

হবিগঞ্জ প্রতিনিধি

হবিগঞ্জের বানিয়াচং উপজেলার নথল্লাপুর-তেরাউতিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক ও ম্যানেজিং কমিটির মধ্যে দ্বন্দ্ব চরম আকার ধারণ করেছে। পাঠদান কিংবা বিদ্যালয় পরিচালনার ক্ষেত্রে কেউ কারও পরোয়া করছেন না। যে যার মতো করে বিদ্যালয়ে আসা-যাওয়া করেন। ইচ্ছে হলে ক্লাস নেন। শিক্ষকদের নিয়মিত অনুপস্থিতির কারণে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে শিশুশিক্ষার্থীরা। 

এদিকে, দীর্ঘদিন ধরে সংস্কার না হওয়ায় বিদ্যালয় ভবনটিও ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে পড়েছে। ম্যানেজিং কমিটির অভিযোগ, বিদ্যালয় পরিচালনার ক্ষেত্রে শিক্ষকেরা পরিচালনা কমিটির সঙ্গে কোনো সমন্বয় করছেন না। 

জানা যায়, মক্রমপুর ইউনিয়নের নথল্লাপুর-তেরাউতিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়টি প্রতিষ্ঠা হয় ১৯৮৭ সালে। প্রতিষ্ঠার পর থেকে বিদ্যালয়টির শিক্ষার কার্যক্রম ভালোই চলছিল। ২০১৭ সালে বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক হিসেবে দিলীপ চন্দ্র দেবনাথ যোগ দেওয়ার পর থেকে শিক্ষা কার্যক্রম দুর্বল হয়ে পড়ে। বিদ্যালয়টি বর্তমানে শিক্ষার্থীর সংখ্যা ১০১। 

অভিযোগ রয়েছে, প্রধান শিক্ষক এবং সাধারণ শিক্ষকদের মধ্যে দ্বন্দ্ব চরম আকার ধারণ করেছে। যে কারণে সবাই সরকারি নিয়মনীতির তোয়াক্কা না করে নিজেদের মতো বিদ্যালয়ে আসা-যাওয়া করেন। সকাল সাড়ে ৯টায় ক্লাস শুরুর কথা থাকলেও শিক্ষকেরা যান বেলা ১১টা কিংবা ১২টায়। আবার স্কুলে না গিয়েও হাজিরা খাতায় নিয়মিত উপস্থিতি দেখাচ্ছেন অনেক শিক্ষক। পাঠদান মারাত্মকভাবে বিঘ্নিত ঘটছে। এতে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে শিক্ষার্থীরা। 

বিদ্যালয়টির পঞ্চম শ্রেণির ছাত্র জয়ন্ত সরকার বলে, শিক্ষকেরা কোনো দিন দুপুর ১২টায় স্কুলে আসছেন। স্কুলে আসার পর ক্লাস রুমে গিয়ে টেবিলে মাথা রেখে প্রায় সময় ঘুমিয়ে পড়েন। ঠিকমতো লেখাপড়া করান না। আবার আমাদের যে সরকারি খেলার সামগ্রী স্কুলে এসেছে তা তালা দিয়ে রাখা হয়েছে। 

বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির সদস্য বিমল দাস অভিযোগ করে বলেন, কিছুদিন আগে প্রধান শিক্ষক, জানিয়েছেন পুরাতন কমিটি ভেঙে নতুন কমিটি করা হয়েছে। সেখানে আমাকে সদস্য রেখেছেন। কিন্তু নতুন কমিটিতে সভাপতি কাকে করা হয়েছে তা তিনি বলেননি। মূলত তিনি একক আধিপত্য বিস্তার করেই স্কুলটি পরিচালনা করছেন। 

ম্যানেজিং কমিটির সাবেক সভাপতি আব্দুর রহিম বলেন, প্রধান শিক্ষক দিলীপ চন্দ্র দেবনাথ দায়িত্বকালীন সরকারি যে বরাদ্দ এসেছে সেগুলোর হিসাব কখনও আমাদেরকে দেননি। তিনি তাঁর নিজের মতো করে স্কুল পরিচালনা করছেন। তাঁর অনিয়ম নিয়ে উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসে লিখিত অভিযোগও দেয়া হয়েছে। 

তবে অভিযোগ অস্বীকার করে প্রধান শিক্ষক দিলীপ চন্দ্র দেবনাথ বলেন, সব অভিযোগ মিথ্যা। এখানে শিক্ষকদের মধ্যে বিভক্তি আছে। তাই ভুয়া অভিযোগ দেওয়া হয়েছে। আমি সঠিকভাবে বিদ্যালয় পরিচালনা করছি। পাঠদানও ঠিকমতো হচ্ছে। 

বিদ্যালয়টির এসব সমস্যা সম্পর্কে জানতে বানিয়াচং উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মো. সফিকুল ইসলাম সরকারের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, বিদ্যালয়টির শিক্ষকের মধ্যে গ্রুপিং আছে। এ ছাড়া সঠিক সময়ে স্কুলে না যাওয়ায় শিক্ষার্থীদের পাঠদান ব্যাহত হওয়ার অভিযোগও আমাদের কাছে আছে। যেহেতু এলাকাবাসী চান না প্রধান শিক্ষক দিলীপ চন্দ্র দেবনাথ এখানে থাকুন। তাই তাঁকে এখান থেকে বদলির ব্যবস্থা করা হচ্ছে। 

সিলেট সীমান্তে খাসিয়াদের গুলিতে ২ জন নিহত

সিলেটে প্রথম আলো অফিসের সাইনবোর্ড, গ্লাস ভাঙচুর

কোন্দলই বিএনপির বড় সংকট

সিলেটে দুই মোটরসাইকেলের সংঘর্ষে নিহত তিন

হত্যা মামলায় বিয়ানীবাজার পৌর আ. লীগ সভাপতি গ্রেপ্তার

সিলেটে যেসব এলাকায় ১০ ঘণ্টা বিদ্যুৎ থাকবে না বুধবার

চবি উপ-উপাচার্যের পদে থাকার নৈতিক অধিকার নেই: নাছির উদ্দীন

শাকসু নির্বাচন: ছাত্রদলের ২২ সদস্যের প্যানেল ঘোষণা, নারী প্রার্থী একজন ও মুক্তিযুদ্ধ সম্পাদক পদ ফাঁকা

বেড়িবাঁধের মাটি কাটার সময় মাটিচাপায় শ্রমিকের মৃত্যু

সিলেটে সিএনজিচালিত অটোরিকশা ছিনতাইয়ের জন্য চালককে হত্যা