সিলেটে ২০২২ সালের জুনে ভয়াবহ বন্যার সময় হারিয়ে গিয়েছিলেন মানসিক ভারসাম্যহীন যুবক আশিকুর রহমান। প্রায় তিন বছর পর সেই আশিকুরকে বান্দরবানে খুঁজে পেয়েছে তাঁর পরিবার। গতকাল সোমবার সকালে বান্দরবান শহরে রাজার মাঠ এলাকায় স্থানীয় সাংবাদিকদের উপস্থিতিতে আশিকুরকে তাঁর পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়।
আশিকুর রহমানের বাড়ি সিলেটের কানাইঘাট উপজেলার শ্রীপুর গ্রামে। ৩ ভাই ও ১ বোনের মধ্যে আশিক মেজো।
আশিকুরের মা মরিয়ম বেগম জানান, প্রায় তিন বছর আগে সিলেটের কানাইঘাট উপজেলার শ্রীপুর এলাকা থেকে হারিয়ে যায় আশিকুর। দীর্ঘদিন জেলার বিভিন্ন জায়গায় খোঁজাখুঁজি করেও তার সন্ধান পাওয়া যায়নি। ২০২২ সালের ভয়াবহ বন্যায় ভেসে গেছেন বলে ধারণা করেছিলেন পরিবারের সবাই। নানান জায়গায় খোঁজাখুঁজির পর একপর্যায়ে তাঁরা আশা ছেড়ে দিয়েছিলেন।
এদিকে কয়েক দিন আগে উম্মে হুমায়রা নামে বান্দরবানের এক কনটেন্ট ক্রিয়েটরের দেওয়া ভিডিওর মাধ্যমে সন্তানের সন্ধান পান মরিয়ম। পরে ওই কনটেন্ট ক্রিয়েটরের সঙ্গে যোগাযোগ করে বান্দরবানে পৌঁছে ছেলেকে বুঝে নেন তাঁরা।
বান্দরবানের কনটেন্ট ক্রিয়েটর উম্মে হুমায়রা জানান, ৩ মার্চ শহরের বালাঘাট থেকে ৩ নম্বর বাসস্ট্যান্ড এলাকায় আশিকুর রহমানকে ড্রেন থেকে ময়লা খাবার কুড়িয়ে খেতে দেখেন তিনি। তাৎক্ষণিক ময়লা খাবার ফেলে কিছু শুকনো খাবার হাতে তুলে দেন তিনি। পরে নাম-ঠিকানা জেনে একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে আপলোড করেন। ভিডিওটি ভাইরাল হলে তাঁর পরিবারের নজরে আসে। পরে পরিবার ফোনে নিশ্চিত হয়ে বান্দরবান পৌঁছলে আশিকুরকে মায়ের হাতে তুলে দেওয়া হয়।
আশিকুরকে ফিরে পেয়ে উম্মে হুমায়রার প্রতি কৃতজ্ঞতা জানান মা মরিয়মসহ পরিবারের সদস্যরা। এ সময় আশিকুরের পরিবারের পাশাপাশি বান্দরবানের সামাজিক সংগঠন ও যুবসমাজের সদস্যরাও উপস্থিত ছিলেন।