সুনামগঞ্জে স্ত্রীকে হত্যার দায়ে এক যুবককে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। সেই সঙ্গে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরও ৩ মাসের কারাদণ্ডের আদেশ দেওয়া হয়েছে।
আজ বৃহস্পতিবার দুপুর ১২টায় সুনামগঞ্জ জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক মোসাম্মৎ জাকিয়া পারভীন এ রায় দেন।
সাজাপ্রাপ্ত যুবকের নাম জালাল উদ্দিন (২৭)। তিনি সুনামগঞ্জ সদর উপজেলার গৌরারং ইউনিয়নের ইচ্ছারচর গ্রামের মো. ছোবান মিয়ার ছেলে। নিহত হয়েছেন—জালাল উদ্দিনের স্ত্রী সামিয়া বেগম (১৯)। তিনি জামালগঞ্জ উপজেলার গোলাম জিলানীর মেয়ে।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন পাবলিক প্রসিকিউটর মো. খায়রুল কবীর রোমেন। এ সময় তিনি বলেন, ‘এই রায়ে আমরা রাষ্ট্রপক্ষ ও সামিয়ার পরিবার সন্তুষ্ট।’
আদালত সূত্রে জানা যায়, ২০২০ সালের ৩০ অক্টোবর জালাল উদ্দিন তাঁর স্ত্রী সামিয়া বেগমকে ঘুমের মধ্যে কুপিয়ে জখম করে। পরে হাসপাতালে নেওয়া হলে চিকিৎসক তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন। এ ঘটনার পরে সামিয়ার দাদা আব্দুল গফুর বাদী হয়ে জামালগঞ্জ থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন। ৩ বছর আদালতে মামলা চলার পর বৃহস্পতিবার সামিয়া বেগমের স্বামী জালাল উদ্দিনের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেন আদালত।
মামলার সূত্রে জানা যায়, ২০১৯ সালে জালাল উদ্দিনের সঙ্গে সামিয়া বেগমের বিয়ের পর থেকেই সামিয়াকে বিভিন্ন সময় নির্যাতন করা হতো। জালাল উদ্দিন জোর করে বিয়ের সময় পাওয়া তাঁর স্ত্রীর স্বর্ণালংকার বিক্রি করে দেন। এ নিয়ে প্রায়ই তাদের মধ্যে ঝগড়া হতো। একপর্যায়ে ২০২০ সালের ২৪ অক্টোবর সামিয়া তাঁর বাপের বাড়ি যান এবং ৩০ অক্টোবর জালাল উদ্দিন স্ত্রীকে আনতে শ্বশুর বাড়ি যান। ওই রাতেই বাড়ির সবাই ঘুমিয়ে গেলে জালাল উদ্দিন তাঁর স্ত্রী সামিয়াকে দা দিয়ে কুপিয়ে জখম করে। পরে তাঁকে গুরুতর আহত অবস্থায় জামালগঞ্জ হাসপাতালে নেওয়া হলে চিকিৎসক তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন।