সিরাজগঞ্জের তাড়াশে এক নৃত্যশিল্পীকে (২০) দলবদ্ধ ধর্ষণের অভিযোগে থানায় মামলা হয়েছে। মামলার পরপরই রফিকুল ইসলাম (৪৪) নামের এক ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। দলবদ্ধ ধর্ষণের ঘটনাটি ঘটেছে গতকাল শুক্রবার রাতে উপজেলার তালম ইউনিয়নের রানীরহাট হাইস্কুল মাঠে।
মামলা সূত্রে জানা গেছে, গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জ থানার এক নৃত্যশিল্পী বিভিন্ন এলাকায় গান ও ডিজে পার্টিতে অংশ নিয়ে জীবিকা নির্বাহ করেন। সেই সূত্রে পূর্বপরিচিত রানীরহাট বাজারের ডেকোরেটর ব্যবসায়ী মো. কফিল উদ্দিন মেলার অনুষ্ঠানের জন্য ডাকেন। সে সুবাদে রানীরহাট বাজারে আসেন ওই তরুণী।
এরপর বায়নার কথা বলে রাতে রানীরহাট উচ্চবিদ্যালয় মাঠে নিয়ে কফিল উদ্দিন, রফিকুল ইসলাম, এনামুল হক এনাসহ চার-পাঁচজন মিলে তাঁকে ধর্ষণ করেন।
এ ঘটনায় আজ দুপুরে ওই নৃত্যশিল্পী তাড়াশ থানায় বাদী হয়ে উল্লিখিত তিনজনের বিরুদ্ধে ধর্ষণ মামলা করেন। মামলার পরপরই এজাহারভুক্ত আসামি রফিকুল ইসলামকে পুলিশ গ্রেপ্তার করে।
পরে আজ শনিবার বিকেলে তাঁকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। আদালতের তাড়াশ থানার জিআরও শিউলি খাতুন বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
তবে রফিকুল ইসলাম বলেন, ‘সে যৌনকর্মী। আমার সঙ্গে থাকা দুজন টাকা না দিয়ে পালিয়ে যাওয়ায় এ ঘটনা ঘটে।’
মামলার বাদী অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, ‘আমার ওপর পাশবিক নির্যাতন হয়েছে। আমি এর যথাযথ বিচার চাই।’
তাড়াশ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জিয়াউর রহমান বলেন, ভুক্তভোগী নিজেকে একজন সংস্কৃতিকর্মী দাবি করেছেন। তিনি মেলা ও সার্কাসে নৃত্যশিল্পী হিসেবে কাজ করেন। পূর্বপরিচিত হওয়ায় তাড়াশ উপজেলার রানীরহাট বাজারের ডেকোরেটর ব্যবসায়ী কফিল উদ্দিন তাঁকে ডেকে নিয়ে জোরপূর্বক ধর্ষণ করেন। শারীরিক পরীক্ষার জন্য তাঁকে থানা হেফাজতে রাখা হয়েছে।