ভারত থেকে ফেরত পাঠানো আট নারী, দুই শিশুসহ মোট ১৫ জন বাংলাদেশিকে সাতক্ষীরা সদর থানার পুলিশ তাদের পরিবারের কাছে হস্তান্তর করেছে। পরিচয় যাচাই-বাছাই শেষে বৃহস্পতিবার সকালে তাদের হস্তান্তর করা হয়।
এর আগে, গতকাল বুধবার সন্ধ্যায় তলুইগাছা সীমান্ত দিয়ে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিএসএফ পতাকা বৈঠকের মাধ্যমে এই ১৫ জন বাংলাদেশিকে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) কাছে হস্তান্তর করে। পরে বুধবার রাত ১০টার দিকে তাদের সাতক্ষীরা সদর থানায় সোপর্দ করা হয়।
হস্তান্তরকৃতরা হলেন—খুলনা জেলার কয়রা উপজেলার কয়রা গ্রামের ফজিলা খাতুন (৪৭), তাঁর ছেলে মিলন গাজী (১৯), একই উপজেলার মাদারবাড়িয়া গ্রামের জাফরুল ইসলাম (৩৮), জাফরুল ইসলামের স্ত্রী রহিমা খাতুন (২৮), তাঁর ছেলে জামসেদ আলী (১২), তাদের মেয়ে জিম সুলতানা (০৩), একই উপজেলার কয়রা গ্রামের এলেম সরদার (১৯), এলেম সরদারের স্ত্রী আকলিমা খাতুন (৪৪), তাদের মেয়ে আছিয়া খাতুন (১১), একই উপজেলার মহারাজপুর গ্রামের আহসান হাবিব খোকন (৪২), তাঁর স্ত্রী রওশান আরা বেগম (৩৮), আহসান হাবিবের ছেলে সোহান গাজী (০৫), একই জেলার ডুমুরিয়া উপজেলার সাহসজয়খালী গ্রামের সেলিম মোড়লের ছেলে সবুজ মোড়ল (১২), বক্কর সরদারের মেয়ে রেশমা খাতুন (২২) ও সবুজ মোড়লের মেয়ে রাজিয়া খাতুন (০৭)।
হস্তান্তরিতদের মধ্যে খুলনা জেলার কয়রা গ্রামের ফজিলা খাতুন (৪৭) জানান, তিনি প্রায় ১০ বছর আগে অবৈধভাবে ভারতে গিয়েছিলেন এবং সেখানে বাসাবাড়িতে কাজ করতেন। তিনি বলেন, ভারতে ধরপাকড় শুরু হওয়ায় তিনিসহ অন্য বাংলাদেশিরা বিএসএফ ক্যাম্পে আত্মসমর্পণ করেন।
সাতক্ষীরা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শামিনুল হক জানান, থানায় সোপর্দকৃত ১৫ জন বাংলাদেশির পরিচয় যাচাই-বাছাই শেষে বৃহস্পতিবার সকালে পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।