বুলু মিয়াকে (৩৬) কয়েক বন্ধু মিলে যৌন উত্তেজক ওষুধ সেবন করান। চিকিৎসা করে বুলু মিয়া সুস্থ হলে তাদের ওপর প্রতিশোধ নিতে পারেন এমন শঙ্কায় তাকে হত্যা করা হয়। হত্যাকাণ্ডের রহস্য উদ্ঘাটনের পর আজ বৃহস্পতিবার নিজ কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান নীলফামারীর পুলিশ সুপার মো. মোকবুল হোসেন।
তিনি বলেন, গত ২৮ জুলাই সদর উপজেলার চড়াইখোলা ইউনিয়নের মুন্সিপাড়া গ্রামে সকালে বাড়ি থেকে ৫০০ গজ দুরে একটি ধান খেত থেকে বুলু মিয়ার লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। তিনি ওই গ্রামের মৃত আবুল হোসেনের ছেলে। লাশ উদ্ধারের পর থেকে ক্লুলেস ওই হত্যাকাণ্ডের সন্ধানে নামে পুলিশের চারটি দল। অনুসন্ধান চালিয়ে মো. সোহাগ ইসলাম (৩০) নামে বুলু মিয়ার এক বন্ধুকে গ্রেপ্তার করা হয়। সোহাগ একই ইউনিয়নের তেলিপাড়া গ্রামের মো. খায়রুল ইসলামের ছেলে।
পুলিশ সুপার বলেন, গত ২৭ জুলাই রাতে আসামি সোহাগ ও তার সহযোগীরা একজন যৌনকর্মীকে আট হাজার টাকা বিনিময়ে নিয়ে আসেন শ্মশান এলাকায়। সেখানে নিহত বুলু মিয়াসহ সবাই যৌনকর্মীর সঙ্গে অপকর্মে জড়ান। তাদের মধ্যে একজন বুলু মিয়াকে যৌন উত্তেজক ওষুধ সেবন করালে অস্বাভাবিক আচরণ ও চেতনা হারানোর অবস্থা সৃষ্টি হয় তার। পরে তাদের মাথায় আসে চিকিৎসা দিয়ে বুলুকে সুস্থ করলে বিষয়টি জানাজানি হওয়া এবং প্রতিশোধ নেওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। এই ভেবে তাকে শ্মশানের পাশে একটি আমন ধান খেতের কাঁদায় ফেলে শ্বাসরোধ করে হত্যা করা হয়।
মো. মোকবুল হোসেন বলেন, ‘এ ঘটনায় নিহতের মা ময়না বেগম বাদী হয়ে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। ঘটনার ৪৪ ঘণ্টার মধ্যেই ওই হত্যাকাণ্ডের রহস্য উদ্ঘাটন করে সোহাগ ইসলাম ওরফে স্বাধীনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তিনি আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি প্রদান করেছেন। তার দেওয়া তথ্যে অন্য আসামিদের গ্রেপ্তারের অভিযান অব্যাহত আছে।’
এ সময় অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম, মোস্তফা মঞ্জুর, সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা তানভিরুল ইসলাম প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।