গাইবান্ধার পলাশবাড়ীতে খেলতে গিয়ে বাড়ির পাশ থেকে নিখোঁজ হয় শিশু বায়েজিদ (৪)। এ ঘটনার পাঁচ দিন পর গতকাল শনিবার ধানখেত থেকে শিশুটির মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। বায়েজিদের মা রায়হানা বেগমের দাবি, প্রতিবেশীর চোর-নেশাখোর ছেলের সঙ্গে নাবালিকা মেয়ের বিয়ে দিতে রাজি না হওয়ায় শিশু বায়েজিদকে হত্যা করা হয়েছে।
বাড়ির উঠানে রায়হানা বেগম বিলাপ করতে করতে বলেন, প্রতিবেশী সুদের কারবারি সিরিকুলের ছেলে রোমান এলাকার একজন চিহ্নিত চোর। সে নেশায় আসক্ত।
রায়হানা বেগমের মেয়ে ও বায়েজিদের বোন অষ্টম শ্রেণির ছাত্রী তিশাকে বিয়ের প্রস্তাব দিয়ে আসছিল রোমানের পরিবার। এতে রাজি না হওয়ায় রোমান বিভিন্ন হুমকি দিতে থাকে। এরই ধারাবাহিকতায় বায়েজিদকে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করা হয় বলে জানান রায়হানা বেগম। তিনি দোষীদের ফাঁসির দাবি জানান।
তিনি বলেন, এ ঘটনায় আটক দুজন জেলহাজতে রয়েছেন। প্রকৃত ঘটনা উদ্ঘাটনের লক্ষ্যে অভিযুক্ত পরিবারের কয়েকজনকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করা হয়েছে।
এ ঘটনায় বিক্ষুব্ধ এলাকাবাসী অভিযুক্ত সিরিকুলের বসতবাড়িতে আগুন দিয়েছে। পরে পলাশবাড়ী ও গাইবান্ধা ফায়ার সার্ভিসের দুটি ইউনিট ঘটনাস্থলে পৌঁছে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে।