রংপুরের কাউনিয়ায় ছুরিকাঘাতে স্কুলছাত্রী সানজিদা আক্তার ইভা (১৬) হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় শেখ মনিরুজ্জামান প্রিন্স নামে আরও এক যুবককে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। গতকাল বৃহস্পতিবার পীরগাছা উপজেলার কল্যাণী ইউনিয়নের বিহারি গ্রাম এলাকা থেকে তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়। আজ শুক্রবার গ্রেপ্তার যুবক প্রিন্সকে রংপুর আদালতে পাঠানো হয়েছে।
শেখ মনিরুজ্জামান প্রিন্স বিহারি গ্রামের পল্লী চিকিৎসক শেখ হায়দার আলীর ছেলে এবং পঞ্চগড় সরকারি কলেজের স্নাতক দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন মামলার তদন্তকারী ও কাউনিয়া থানার পরিদর্শক (তদন্ত) সেলিমুর রহমান।
পুলিশ কর্মকর্তা সেলিমুর রহমান বলেন, ‘এই হত্যাকাণ্ডের মূল হোতা নায়েদুল ইসলাম সায়েমকে আগে গ্রেপ্তার করা হয়ছে। সায়েম আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন। আদালত তাঁকে কারাগারে পাঠিয়েছেন। মূলত ইভার সঙ্গে প্রেমের সম্পর্কের বিচ্ছেদ এবং পরবর্তী সময়ে ইভা অন্য ছেলেদের সঙ্গে প্রেমের সম্পর্কে জড়িয়ে পড়ায় ক্ষুব্ধ হয়ে এ হত্যাকাণ্ড ঘটিয়েছেন বলে জবানবন্দিতে স্বীকার করেছেন সায়েম। প্রায় আট মাস আগে প্রেমে বিচ্ছেদ ঘটানোর পর মানসিকভাবে ভেঙে পড়েন ঘাতক সায়েম। এরই জের ধরে সায়েম, প্রিন্স ও ইভার আরও এক প্রেমিকসহ তিনজন মিলে মঙ্গলবার ইভাকে ঘুরতে নিয়ে যান। এরপর রাত সাড়ে ৯টার দিকে কাউনিয়া উপজেলার হরিচরণ লস্কর গ্রামে কুটিরপাড়-মধুপুর সড়কের পাশে ধারালো চাকু দিয়ে ইভাকে ছুরিকাঘাতে হত্যা করেন সায়েমসহ ইভার কথিত আরও দুই প্রেমিক।
পরিদর্শক সেলিমুর রহমান আরও বলেন, সানজিদা আক্তার ইভা কাউনিয়া উপজেলার কুর্শা ইউনিয়নের গোড়াই গ্রামের ইব্রাহীম মিয়ার মেয়ে এবং পার্শ্ববর্তী পীরগাছা উপজেলার বড় দরগাহ উচ্চ বিদ্যালয়ের দশম শ্রেণির ছাত্রী।
রংপুর জেলা পুলিশের সহকারী পুলিশ সুপার (সার্কেল-সি) আশরাফুল আলম পলাশ জানান, ‘প্রেমঘটিত বিষয়কে কেন্দ্র করে ইভাকে ছুরিকাঘাতে হত্যা করা হয়েছে। এই হত্যাকাণ্ডে গ্রেপ্তার সায়েম ও প্রিন্সসহ আরও একজন অংশ নেন বলে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জানা গেছে। আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দিতে সায়েম এ হত্যাকাণ্ডের দায় স্বীকার করেছেন। প্রিন্সের রিমান্ড চেয়ে আদালতে আবেদন জানানো হবে।’