পবিত্র ঈদুল ফিতরের ছুটিতে দিনাজপুরের খানসামা উপজেলার আত্রাই নদে দর্শনার্থীদের ভিড়ে বাড়তি আয়ে খুশি মাঝিরা। আজ বৃহস্পতিবার ঈদের নামাজ আদায়ের পর খানসামা ঘাটপাড়ে বাড়তে থাকে ভ্রমণপিপাসু মানুষের আনাগোনা।
বিকেলে সরেজমিন আলোকঝাড়ী ইউনিয়নের খানসামা আত্রাই নদের ব্রিজের পাড় ও খানসামা জিরো পয়েন্ট এলাকা ঘুরে দেখা যায়, বিভিন্ন বয়সের মানুষ বালুচরে হাঁটছেন, নদের দুই ধারে অস্থায়ী ফুচকার দোকানে বসে আড্ডা দিচ্ছেন, নদীতে নৌকা ভ্রমণ ও ফটোসেশনে ব্যস্ত সময় পার করছেন। এর সঙ্গে নৌকায় ভ্রমণ বাড়তি আনন্দ যোগ করেছে।
মাঝি ও স্থানীয়দের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, এখন নদী পথে চলাচল অনেক কমে যাওয়ায় বেশির ভাগ মাঝিই পেশা পরিবর্তন করেছেন। যাঁরা এখনো টিকে আছেন, তাঁদের অবস্থাও শোচনীয়। তবে আজকের দিনটি তাঁদের জন্য ছিল আনন্দের।
খানসামা উপজেলার খামারপাড়া, বেলপুকুর ও পার্শ্ববর্তী বীরগঞ্জের তুলশীপুর গ্রামের মাঝিরা প্রায় ২০টি নৌকা দিয়ে এদিন জনপ্রতি ২০ টাকার বিনিময়ে নৌভ্রমণ করিয়েছেন। নৌকাগুলো অন্য সময় মাছ ধরার কাজে ব্যবহৃত হয়।
বেলপুকুর গ্রামের মাঝি সুজন দাস আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আমাদের আয়ের উৎস কমে গেছে। ঈদের দু-তিন দিন এমন ভিড়ে কিছু আয় করা সম্ভব হয়।’
নৌকায় করে নদে ঘুরে আসা শাকিল আহমেদ নামে এক যুবক আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আমাদের উপজেলায় ঘুরতে যাওয়ার জায়গা কম। তাই নদের পাড়েই সবাই আসে। তবে গাড়ি পার্কিং ও মানসম্মত খাওয়ার হোটেলসংকট থাকায় বিড়ম্বনায় পড়তে হয়। রাস্তায় প্রচুর জ্যাম।’
খানসামা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. তাজ উদ্দিন আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘ভ্রমণপিপাসুদের জন্য ইতিমধ্যে জেলা প্রশাসকের নির্দেশনায় ঘাটপাড়ে বসার স্থান ও দর্শনীয় স্থাপনা নির্মাণের কাজ শুরু হয়েছে। আশা করি, কাজ শেষ হলে এটি এই এলাকার অন্যতম পর্যটনকেন্দ্র হবে।’
আজ খানসামা শিশুপার্কেও দর্শনার্থীদের উপচে পড়া ভিড় ছিল।