রংপুরের গঙ্গাচড়ায় কালবৈশাখীতে বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন হয়ে দুই দিন ধরে অন্ধকারে রয়েছে উপজেলার অধিকাংশ মানুষ। এখন পর্যন্ত প্রায় ৭০ শতাংশ গ্রাহকের সংযোগ চালু করতে পারেনি রংপুর পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি-২-এর অধীনে থাকা গঙ্গাচড়া জোনাল অফিস।
উপজেলায় পল্লী বিদ্যুতের আওতায় ৯০ হাজার গ্রাহক রয়েছেন। গত শনিবার রাত ৮টার দিকে হঠাৎ ঝড়ে বিভিন্ন স্থানে বিদ্যুতের খুঁটি ভেঙে ও তার ছিঁড়ে তাঁদের বিদ্যুৎ-সংযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। পল্লী বিদ্যুতের কর্মকর্তাদের দাবি, তাঁরা দ্রুত সংযোগ চালু করতে কাজ করছেন।
কোলকোন্দ ইউনিয়নের ব্যবসায়ী দুলাল মিয়া বলেন, ‘দুই দিন ধরে বিদ্যুৎ না থাকায় দোকানের ফ্রিজে থাকা প্রায় ৩ হাজার টাকার আইসক্রিম গলে নষ্ট হয়েছে। আজ বিকেলের দিকে সবগুলো বাইরে বের করে ফেলে দিয়েছি।’
গজঘণ্টা ইউনিয়নের গৃহবধূ নাজু আক্তার বলেন, ‘ঝড়বৃষ্টি হলেই যেন বিদ্যুতের দম বন্ধ হয়ে যায়। দুই দিন ধরে বিদ্যুৎ না থাকায় ফ্রিজে থাকা মাংস নষ্ট হচ্ছিল। পরে সব মাংস বের করে সেদ্ধ করে রাখলাম।’
গঙ্গাচড়া মেডিকেলপাড়ার ব্যাটারিচালিত অটোরিকশাচালক ফরিদুল ইসলাম বলেন, ‘আমি গরিব মানুষ, দিন আনি দিন খাই। এক দিন রিকশা না চালালে পেটে ভাত যায় না। দুই দিন ধরে বিদ্যুৎ না থাকায় চার্জ দিয়ে রিকশা চালাতে পারছি না। পরিবার নিয়ে বিপদে পড়েছি।’
এ বিষয়ে জানতে চাইলে গঙ্গাচড়া জোনাল অফিসের এজিএম (ওঅ্যান্ডএম) খাদেমুল ইসলাম আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আমরা বিদ্যুৎ-সংযোগ চালুর জন্য সর্বাত্মক চেষ্টা করছি। আমাদের টিম দ্রুত কাজ করছে।’