রংপুরে বিদ্যুতায়িত হয়ে নিয়ামুল ইসলাম নীরব নামের এক শিক্ষার্থীর মৃত্যু হয়েছে। মেডিকেল ভর্তি পরীক্ষায় উত্তীর্ণ না হওয়ার হতাশা থেকে ৩৩ কেভি বা ৩৩ হাজার ভোল্ট ক্ষমতাসম্পন্ন বিদ্যুতের তারের ওপর শুয়ে তিনি আত্মহত্যা করেছেন বলে স্বজনরা দাবি করেছেন।
নীরবের বাড়ি কুড়িগ্রামের নাগেশ্বরী উপজেলার বেরুবাড়ী ইউনিয়নের চিলমারী এলাকায়। তার বাবা এরশাদুল হক ও মা নুরুন্নাহার বেগম। তাঁরা দুজনে মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে শিক্ষকতা করেন।
স্বজনরা জানান, গতকাল রোববার সন্ধ্যায় রংপুর শহরের লালবাগ এলাকা থেকে প্রায় দেড় কিলোমিটার দূরে বালাপাড়া এলাকায় ৩৩ হাজার ভোল্ট ক্ষমতাসম্পন্ন বৈদ্যুতিক সঞ্চালন লাইনের খুঁটিতে উঠে পড়েন নীরব; বিদ্যুতায়িত হয়ে তাঁর দগ্ধ শরীর নিচে পড়ে যায়।
নীরবের বাবার নম্বরে কল দিলে তাঁর ভাই (নীরবের চাচা) আবু বকর সিদ্দিক রিসিভ করেন। তিনি আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আমরা ধারণা করছি, মেডিকেলে পড়ার সুযোগ না পাওয়ার কষ্ট থেকে নীরব আত্মহত্যা করেছে। ওর বাবা-মা কথা বলার মতো অবস্থায় নেই। মরদেহ বাড়িতে আনা হয়েছে। পারিবারিকভাবে দাফনের ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।’
আবু বকর সিদ্দিক জানান, নীরব মেডিকেল ভর্তি পরীক্ষার জন্য প্রস্তুতি নিতে কোচিং করলেও নীরব উত্তীর্ণ হতে পারেননি। গতকাল দুপুর থেকে তাঁর ফোন বন্ধ ছিল। সন্ধ্যার পর নীরব বৈদ্যুতিক খুঁটিতে উঠে তারের ওপর শুয়ে পড়ে। একসময় তাঁর দগ্ধ দেহ নিচে পড়ে যায়।
বেরুবাড়ী ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) প্যানেল চেয়ারম্যান আশরাফুল হক আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘ঘটনা শুনে ওই বাড়িতে গিয়েছি। বিষয়টি খুবই মর্মান্তিক।’