ওমানে সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত হয়েছেন ঠাকুরগাঁওয়ের বালিয়াডাঙ্গী উপজেলার যুবক সুলতান আলী (২৪)। হাসপাতালের আইসিইউতে সাত দিন চিকিৎসাধীন থাকার পর গত রোববার (৩ সেপ্টেম্বর) বিকেলে তাঁর মৃত্যু হয়। এরপর থেকে ছেলের মরদেহ দেশে ফিরিয়ে আনা নিয়ে দুশ্চিন্তায় ছিলেন বাবা। অবশেষে দুশ্চিন্তা কেটেছে।
আজ শনিবার সকাল ৯টার দিকে সুলতান আলীর মরদেহ বালিয়াডাঙ্গী উপজেলার আমজানখোর ইউনিয়নের কাশিবাড়ী গ্রামের বাড়িতে এসে পৌঁছায়। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন তাঁর বাবা মো. মিঠু। তিনি পেশায় কৃষক।
সুলতান আলীর বাবা মিঠু আজকের পত্রিকাকে জানান, ঋণের টাকার কিস্তি এবং ছেলের মরদেহ দেশে ফেরানো নিয়ে দুশ্চিন্তায় ছিলেন। দুই দেশের যাবতীয় প্রক্রিয়া শেষে আজ সকালে ছেলের মরদেহ গ্রামের বাড়িতে এসেছে। বেলায় ১১টার দিকে জানাজা শেষে পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করা হয়েছে সুলতানকে। দ্রুত ছেলের মরদেহ ফিরিয়ে দেওয়ায় দুই দেশের সরকারের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন তিনি।
এনজিও থেকে ৩ লাখ টাকা ঋণ নিয়ে সরকারি ভিসায় ছয় মাস আগে ছেলেকে ওমান পাঠান মো. মিঠু। কাজ শিখে না যাওয়ার কারণে শুরুতে বেকার ছিলেন। দুই মাস আগে কাজে যোগ দেন।
গত ২৭ আগস্ট প্রচণ্ড গরমে কাজের ফাঁকে কোমল পানীয় কিনতে ইবরি এলাকায় রাস্তা পার হচ্ছিলেন। এমন সময় প্রাইভেটকারের ধাক্কায় মাথায় প্রচণ্ড আঘাত পান। এরপর থেকে আইসিইউতে ছিলেন।
বালিয়াডাঙ্গী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) বিপুল কুমার বলেন, ‘সুলতানের মরদেহ ফেরাতে যাবতীয় সহযোগিতা করা হয়েছে। তা ছাড়া পরিবারটি ঋণগ্রস্ত। সরকারিভাবে সহযোগিতা জন্য ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হবে।’