চিকিৎসকের দেওয়া ভুল প্রতিবেদনের কারণে শিশুর পচন ধরা একটি হাত কেটে ফেলতে হবে বলে অভিযোগ উঠেছে। রংপুরের মিঠাপুকুর প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে এ অভিযোগ করেছেন নবজাতকের বাবা আইনুল হক। গতকাল রোববার বিকেলে মিঠাপুকুর সংবাদ সম্মেলন তিনি ভুল প্রতিবেদন দেওয়া ওই চিকিৎসকের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানান।
সংবাদ সম্মেলনে আইনুল হক বলেন, তাঁর স্ত্রী আইননুন্নাহার বেগম ৮ মাসের অন্তঃসত্ত্বা ছিলেন। গত ১০ মার্চ অসুস্থতা বোধ করলে তাঁকে মিঠাপুকুর থানার সামনে অবস্থিত আইডিয়াল ডায়াগনস্টিক সেন্টারে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে আল্ট্রাসনোগ্রাম করার পর ডা: আহসান কবীর রনি গর্ভের সন্তান মারা গেছে মর্মে প্রতিবেদন দিয়ে প্রসুতিকে বাঁচানোর জন্য দ্রুত গর্ভপাত ঘটানোর পরামর্শ দেন। তাঁর পরামর্শে প্রসূতিকে রংপুর মেডিকেল কলেজ (রমেক) হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়।
তিনি আরও বলেন, রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ওই চিকিৎসকের দেওয়া প্রতিবেদন দেখে গর্ভপাত ঘটানোর প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা করা হয়। কিন্তু ১২ ঘণ্টার মধ্যে গর্ভপাত না ঘটায় চিকিৎসকের পরামর্শে গাইনী বিশেষজ্ঞ ও নার্সেরা পুনরায় গর্ভপাত ঘটানোর চেষ্টা করেন। এ সময় তাঁরা বুঝতে পারেন গর্ভের সন্তান জীবিত রয়েছে। পরে তাঁদের পরামর্শে দ্রুত সিজার করা হয়। শিশুটি ভূমিষ্ঠ হওয়ার পর দেখা যায় তার ডান হাতে আঘাত লেগেছে। এক মাস ধরে চিকিৎসা করার পরও ফরসেপের আঘাতে ক্ষতিগ্রস্ত হাতটি ভালো হয়নি। বরং হাতটি কেটে ফেলতে হবে বলে পরামর্শ দিয়েছেন বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকেরা।
শিশুর পিতা বলেন, আল্ট্রাসনোগ্রামের ভুল প্রতিবেদনদাতা চিকিৎসক ও আইডিয়াল ডায়াগনস্টিক সেন্টারের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য রংপুর সিভিল সার্জনসহ বিভিন্ন দপ্তরে অভিযোগ করা হয়েছে। কিন্তু প্রায় ১ মাস পেরিয়ে গেলেও কোনো ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়নি।