বগুড়ার শিবগঞ্জে দাফনের ১৪ দিন পর এক গৃহবধূর মরদেহ কবর থেকে তোলা হয়েছে। আদালতের নির্দেশে আজ বৃহস্পতিবার দুপুর ১২টার দিকে উপজেলার আটমুল ইউনিয়নের আতাহার গ্রাম থেকে তাঁর মরদেহ তোলা হয়।
স্থানীয় ও মামলা সূত্রে জানা গেছে, গত ২ ফেব্রুয়ারি রাতে আতাহার গ্রামের হেলাল উদ্দিনের স্ত্রী নাদিরা বেগম মারা যান। এ সময় স্বাভাবিক মৃত্যু দাবি করে তাঁর মরদেহ দাফন করেন স্থানীয়রা। পরে মৃত্যুর বিষয়টি অস্বাভাবিক দাবি করে ৭ ফেব্রুয়ারি আদালতে হত্যা মামলা দায়ের করেন নাদিরার চাচাতো ভাই সাইদুর রহমান।
মামলায় নাদিরার স্বামী হেলাল উদ্দিনসহ তিনজনকে আসামি করা হয়। এ ঘটনায় আদালত ৯ ফেব্রুয়ারি নাদিরার মরদেহ উত্তোলনের আদেশ দেন। পরে আজ দুপুর ১২টার দিকে জেলা ম্যাজিস্ট্রেট কার্যালয়ের সহকারী কমিশনার ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আতাহার শাকিলের উপস্থিতিতে মরদেহ তোলা হয়।
মামলার বাদী সাইদুর রহমান জানান, ‘আমার বোনের মরদেহে জখমের চিহ্ন ও হাতের নখ কোঁকড়ানো ছিল। এ থেকে বোঝা যায় তাঁকে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করা হয়েছে।’
মরদেহ উত্তোলনের সময় নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ছাড়াও শিবগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মনজুরুল আলম, আটমুল ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান বেলাল হোসেনসহ স্থানীয় বাসিন্দারা উপস্থিত ছিলেন।
বগুড়া জেলা ম্যাজিস্ট্রেট কার্যালয়ের সহকারী কমিশনার ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আতাহার শাকিল জানান, আদালতের নির্দেশে কবর থেকে মরদেহ তোলা হয়েছে। মরদেহের সুরতহাল প্রতিবেদন তৈরি করে ময়নাতদন্ত শেষে পুনরায় পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হবে।