নাটোরের গুরুদাসপুর বিলচলন শহীদ সামসুজ্জোহা সরকারি কলেজের এইচএসসি পরীক্ষার্থীদের বিদায় সংবর্ধনা অনুষ্ঠানের ব্যানারে বঙ্গবন্ধু ও প্রধানমন্ত্রীর ছবি না থাকায় অনুষ্ঠান বয়কট করেছেন স্থানীয় সংসদ সদস্য আব্দুল কুদ্দুস। সংসদ সদস্যের সমর্থনে কলেজ শাখা, পৌর ও উপজেলা শাখা ছাত্রলীগ বিক্ষোভ মিছিল ও প্রতিবাদ সমাবেশ করে। এ সময় কলেজ ক্যাম্পাসে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে।
আজ বৃহস্পতিবার সকাল ১০টার দিকে ২০২২ সালের এইচএসসি পরীক্ষার্থীদের সংবর্ধনা ও বিদায় অনুষ্ঠানের আয়োজন করে কলেজ কর্তৃপক্ষ।
কলেজের বিদায়ী পরীক্ষার্থী, কলেজ শাখা ছাত্রলীগ এবং প্রতিষ্ঠান সূত্রে জানা গেছে, সংবর্ধনা ও বিদায় অনুষ্ঠানে প্রায় ৫ শতাধিক পরীক্ষার্থী উপস্থিত ছিল। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন স্থানীয় সংসদ সদস্য অধ্যাপক আব্দুল কুদ্দুস। এ সময় মঞ্চের ব্যানারে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ছবি না থাকায় তিনি অনুষ্ঠান বয়কট করেন। সংসদ সদস্যের সমর্থনে কলেজ শাখা ছাত্রলীগ অনুষ্ঠান বয়কট করে কলেজ চত্বরে বিক্ষোভ মিছিল করে এবং অধ্যক্ষের কার্যালয় ঘেরাও করে। পরে সংবাদ সম্মেলন করে তাঁরা প্রতিবাদ জানায়।
সংবাদ সম্মেলনে কলেজ শাখা ছাত্রলীগ সভাপতি সোহানুর রহমান সজীব বলেন, ‘জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বাংলাদেশের প্রতিষ্ঠাতা আর প্রধানমন্ত্রী সদ্য কলেজটি সরকারিকরণ করেছেন। অনুষ্ঠানের ব্যানারে তাঁদের ছবি না থাকায় ছাত্রলীগ অনুষ্ঠানটি বয়কট করছে। এছাড়া স্থানীয় সংসদ সদস্যের অনুদানে সামগ্রীর উন্নয়ন হলেও ব্যানারে তাঁর ছবিও ব্যবহার করা হয়নি।’
পরে বেলা সাড়ে ১২টার দিকে অধ্যক্ষ ড. একরামুল হক তাঁর কক্ষে সাংবাদিক সম্মেলনে করে ব্যানারে বঙ্গবন্ধু ও প্রধানমন্ত্রীর ছবি না থাকার কথা স্বীকার করে বলেন, ‘ভুল-বোঝাবুঝি হয়েছে। তবে দ্রুত জাঁকজমকভাবে পুনরায় অনুষ্ঠান করা হবে।’
দিনভর কলেজে উত্তেজনা বিরাজ করার বিষয়ে ওসি আব্দুল মতিন বলেন, কলেজে উত্তেজনা বিরাজ করলেও কোনো অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেনি। আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি পুলিশের নিয়ন্ত্রণে আছে।
এ বিষয়ে প্রধান অতিথি সংসদ সদস্য অধ্যাপক আব্দুল কুদ্দুস বলেন, ‘মঞ্চের ব্যানারে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ছবি না থাকায় অনুষ্ঠানটি বয়কট করেছি।’