রাজশাহীর বাঘা উপজেলার মহদিপুর গ্রামের শাহ আলম চঞ্চলের চোখেমুখে স্বপ্ন ছিল মালয়েশিয়া গিয়ে নিজের ও পরিবারের ভাগ্য ফেরাবেন। অর্থনৈতিকভাবে নিজে স্বাবলম্বী হবেন। ফিরিয়ে আনবেন পরিবারের স্বচ্ছলতা। কিন্তু নিমিষে ভেস্তে গেল সেই স্বপ্ন। দুর্ঘটনায় নিহত হয়ে বাড়ি ফিরলেন তিনি।
আজ বুধবার (২১ মে) মৃত্যুর ২১ দিন পর সকালে চঞ্চলের লাশ বাড়িতে আনা হয়। চঞ্চল উপজেলার মনিগ্রাম ইউনিয়নের মহদিপুর গ্রামের জফির উদ্দিন মৃধার একমাত্র ছেলে। ছেলেকে হারিয়ে বাকরুদ্ধ হয়ে পড়েছেন মা সাথী বেগম ও বাবা জফির উদ্দিন।
পরিবার সূত্রে জানা গেছে, দুই বছর আগে জীবিকার সন্ধানে মালয়েশিয়া যান চঞ্চল। সেখানে খননযন্ত্রের (এক্সকাভেটর) সহকারী হিসেবে কাজ পান। সেই কাজ করে তাঁর প্রবাসজীবন ভালোই চলছিল। কিন্তু হঠাৎ গত ৩০ এপ্রিল বাংলাদেশ সময় সকাল সাড়ে ৮টায় কাজ করতে গিয়ে খননযন্ত্রের ধাক্কায় মালয়েশিয়ায় মারা যান তিনি। গতকাল মঙ্গলবার সন্ধ্যায় চঞ্চলের লাশ ঢাকা হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পৌঁছায়। পরে পরিবারের সদস্যরা লাশ বাড়িতে নিয়ে আসেন।
চঞ্চলের চাচাতো ভাই ফয়সাল আহম্মেদ জানান, ঋণগ্রস্থ পরিবারটি একমাত্র কর্মক্ষম ছেলেকে হারিয়ে দিশাহারা। বৃদ্ধ বাবা স্থানীয় বিভিন্ন বাজারে ভ্রাম্যমাণ সবজি ব্যবসায়ী। তিনি স্থানীয় প্রশাসনসহ আশপাশের সবাইকে পরিবারটির পাশে দাঁড়ানোর আহ্বান জানিয়েছেন।