বগুড়ায় কনস্টেবল পদে চাকরি পাইয়ে দেওয়ার নামে ঊর্ধ্বতন পুলিশ কর্মকর্তার নাম ভাঙিয়ে ৫ লাখ টাকা হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে জাকির হোসেনের (৫৫) বিরুদ্ধে। এ ঘটনায় তাঁকে গ্রেপ্তার করেছে জেলা গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)।
আজ শুক্রবার বেলা ১১টার দিকে ডিবি পুলিশের পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
গ্রেপ্তার জাকির হোসেন বগুড়া জেলার গাবতলী উপজেলার চক সেকেন্দার এলাকার আব্দুস সালামের ছেলে।
এর আগে গতকাল বৃহস্পতিবার রাতে ডিবি পুলিশ জাকিরকে গ্রেপ্তার দেখায়। গ্রেপ্তারের পর তাঁর হেফাজত থেকে নগদ ৩ লাখ টাকা, লিখিত পরীক্ষার প্রবেশপত্র ও একটি চেক উদ্ধার করে।
বগুড়া জেলা গোয়েন্দা পুলিশ তাদের পাঠানো সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানায়, বগুড়া সদর উপজেলার বুজরুক মাঝিড়া গ্রামের ইকবাল হোসেনের ছেলে পুলিশ কনস্টেবল পদে চাকরির জন্য আবেদন করেন। গ্রেপ্তার জাকিরসহ দুজন পূর্বপরিচয়ের সূত্রে তাঁর বাড়িতে যান। তাঁরা পুলিশে
চাকরি পাইয়ে দেওয়ার কথা বলে ১৪ লাখ টাকা দাবি করেন।
সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে আরও জানা যায়, ইকবাল হোসেনের ছেলে শারীরিক পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হলে ওই তিনজন আবারও বাড়িতে গিয়ে লিখিত পরীক্ষার প্রবেশপত্র নিয়ে আসেন। লিখিত ও মৌখিক পরীক্ষায় ইকবাল হোসেনের ছেলে উত্তীর্ণ হলে গত ২১ মার্চ তাঁরা প্রার্থীর বাড়িতে গিয়ে টাকার জন্য চাপ দেন এবং বলেন, টাকা না দিলে মেডিকেল টেস্টে চাকরি থেকে বাদ দেওয়া হবে।
ইকবাল হোসেনের কাছে তাঁরা ভয় দেখিয়ে নগদ ৫ লাখ টাকা ও ৯ লাখ টাকার একটি চেক নেন। বিষয়টি নিয়ে ইকবালের সন্দেহ হলে তিনি পুলিশকে জানান। এরপর গোয়েন্দা পুলিশের একটি দল তথ্যপ্রযুক্তির সহযোগিতায় বৃহস্পতিবার রাতে জাকির হোসেনকে বগুড়া শহরের সাতমাথা এলাকা থেকে আটক করে। পরে তাঁর কাছ থেকে ৩ লাখ টাকা ও চেক উদ্ধার করা হয়।
জেলা গোয়েন্দা পুলিশের ইনচার্জ সাইহান ওলিউল্লাহ বলেন, জাকির হোসেন ঊর্ধ্বতন পুলিশ কর্মকর্তার নাম ভাঙিয়ে চাকরি দেওয়ার কথা বলে টাকা নিয়েছিলেন। এ ঘটনায় জাকিরসহ তিনজনের নামে বগুড়া সদর থানায় মামলা দায়ের করা হয়েছে। গ্রেপ্তার জাকিরকে শুক্রবার কারাগারে পাঠানো হয়। অপর দুজনকে গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।