রাজশাহী, নাটোর ও চাঁপাইনবাবগঞ্জ থেকে বেশির ভাগ পরিবহনের দূরপাল্লার বাস চলছে না। বেতন-ভাতা বৃদ্ধির দাবিতে সোমবার সকাল থেকে শ্রমিকেরা কর্মবিরতি শুরু করেছেন। ফলে ঢাকা, চট্টগ্রাম, সিলেট, কক্সবাজারসহ অন্যান্য দূরপাল্লার যাত্রীরা ভোগান্তিতে পড়েছে।
রাজশাহীর পরিবহন শ্রমিকনেতারা জানান, রাজশাহী, চাঁপাইনবাবগঞ্জ ও নাটোর থেকে হানিফ, হানিফ কেটিসি, ন্যাশনাল, দেশ, শ্যামলী, গ্রামীণ ট্রাভেলসের বাস চলছে না। তবে একতা ও স্লিপার বাসগুলো চলছে। এ ছাড়া ঢাকামুখী বিভিন্ন পরিবহনের লোকাল বাস চলছে।
তবে লোকাল বাস ঢাকা ছাড়া অন্য রুটে যায় না। ফলে সেসব রুটের যাত্রীরা গন্তব্যে যেতে পারছে না। অন্য বাস বন্ধ থাকায় একতায় চাপ বেড়েছে ঢাকাগামী যাত্রীদের। এসব বাসও অনেক যাত্রী নিতে পারছে না।
শ্রমিকেরা জানান, চাঁপাইনবাবগঞ্জ-ঢাকা রুটে একজন চালককে পারিশ্রমিক হিসেবে ১ হাজার ৩৫০ টাকা, সুপারভাইজারকে ৫৭০ এবং হেলপারকে ৫৩০ টাকা দেওয়া হয়। গত ১৫ বছরে একতা ছাড়া অন্য পরিবহনের শ্রমিকদের কোনো পারিশ্রমিক বাড়েনি। তাই পারিশ্রমিক বৃদ্ধির দাবিতে ৮ ও ৯ সেপ্টেম্বর বাস চলাচল বন্ধ রেখে কর্মবিরতি পালন করেন চালক, হেলপার ও সুপারভাইজাররা। তখন তাঁদের পারিশ্রমিক বৃদ্ধির আশ্বাস দেওয়া হলেও পরে তা বাস্তবায়ন করা হয়নি। তাই শ্রমিকেরা আবার অনির্দিষ্টকালের কর্মবিরতি শুরু করেছেন। সোমবার সকালে রাজশাহী নগরের শিরোইল বাস টার্মিনাল এলাকায় তাঁরা বিক্ষোভ সমাবেশ করেন। এ সময় তাঁরা পারিশ্রমিক বৃদ্ধির দাবি জানান।
রাজশাহী মোটর শ্রমিক ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক রফিকুল ইসলাম পাখি জানান, মালিকপক্ষ শ্রমিকদের পারিশ্রমিক বৃদ্ধির জন্য বারবার প্রতিশ্রুতি দিলেও তা বাস্তবে কার্যকর হয়নি। এখন শ্রমিকেরা আবার অনির্দিষ্টকালের কর্মবিরতি শুরু করেছেন। এ পর্যন্ত মালিকপক্ষ কোনো আলোচনায় আসেনি।