রাজশাহী সিটি করপোরেশনের (রাসিক) আসন্ন নির্বাচন থেকে নিজেদের মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করে নিয়েছেন সাধারণ ওয়ার্ডের ৯ জন কাউন্সিলর প্রার্থী। তবে কোনো মেয়র কিংবা সংরক্ষিত মহিলা আসনের প্রার্থী মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করেননি। আজ বৃহস্পতিবার প্রার্থীদের মনোনয়নপত্র প্রত্যাহারের শেষ সময় ছিল। কাল শুক্রবার প্রার্থীদের মধ্যে প্রতীক বরাদ্দ দেওয়া হবে। ২১ জুন ইভিএমের মাধ্যমে ভোট গ্রহণ করা হবে।
নির্বাচনের রিটার্নিং কর্মকর্তা মো. দেলোয়ার হোসেন বলেন, নির্ধারিত সময়ের মধ্যে ৮ নম্বর ওয়ার্ডের প্রার্থী লালমন হোসেন, ১৫ নম্বরের ওমর ফারুক, ১৭ নম্বরের মো. মনিরুজ্জামান, ১৯ নম্বরের সিরাজুল ইসলাম, ২১ নম্বরের রায়হানুর রহমান, ২৪ নম্বরের আতিকুর রহমান, ২৬ নম্বরের সারোয়ার জাহান এবং ১১ নম্বরের হান্নান আলী ও মোয়াজ্জেম হোসেন প্রার্থিতা প্রত্যাহার করেছেন।
এদের মধ্যে মহানগর যুবলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক রায়হানুর রহমান ২১ নম্বর ওয়ার্ডে তাঁর চাচা ফারুক হোসেনের সঙ্গে মনোনয়নপত্র তুলেছিলেন। ফারুক মহানগর যুবলীগের সহসভাপতি। তাঁর ভাই রমজান আলী মহানগর যুবলীগের সভাপতি। চাচার জন্য নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ালেন ভাতিজা।
মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করা আতিকুর রহমান নগরীর ২৪ নম্বর ওয়ার্ডের বর্তমান কাউন্সিলর আরমান আলীর ছেলে। আরমান এবারও প্রার্থী হয়েছেন। তাই মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করলেন ছেলে আতিকুর। ২৬ নম্বরের সারোয়ার জাহান ওই ওয়ার্ডের বর্তমান কাউন্সিলর মো. আকতারুজ্জামানের ভাই। আকতারুজ্জামান এবার নির্বাচনেও অংশ নিয়েছেন। তবে যাচাই-বাছাইয়ে তাঁর মনোনয়নপত্র বাতিল করা হয়েছিল। আপিলের মাধ্যমে তিনি প্রার্থিতা ফিরে পেয়েছেন। তাই নিজের মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করলেন তাঁর ভাই।
রিটার্নিং কর্মকর্তার কার্যালয় থেকে জানা গেছে, নগরীর ৩০টি ওয়ার্ডে এখন মোট কাউন্সিলর প্রার্থী থাকলেন ১১২ জন। এর মধ্যে ২০ নম্বর ওয়ার্ডের প্রার্থী ও বর্তমান কাউন্সিলর রবিউল ইসলাম বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হচ্ছেন। এই নির্বাচনে আওয়ামী লীগ, জাতীয় পার্টি, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ ও জাকের পার্টির চারজন মেয়র প্রার্থী রয়েছেন।
এ ছাড়া ১০টি সংরক্ষিত আসনে জন্য ভোটের লড়াইয়ে নেমেছেন ৪৬ জন প্রার্থী।