পাবনায় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র হত্যা ও হামলা মামলায় গ্রেপ্তার হয়ে কারাগারে থাকা আওয়ামী লীগ নেতাদের বিরুদ্ধে অন্যান্য কয়েদির সঙ্গে বাগ্বিতণ্ডা ও হাতাহাতির অভিযোগ উঠেছে।
এ ঘটনায় অভিযুক্ত ৫ আসামিকে শাস্তিস্বরূপ অন্য জেলার কারাগারে স্থানান্তর করা হয়েছে। অভিযুক্ত ৫ জনই আওয়ামী লীগ ও এর সহযোগী সংগঠনের নেতা।
আজ বুধবার (৫ মার্চ) বিকেলে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন পাবনা জেলা কারাগারের জেল সুপার মো. ওমর ফারুক।
এর আগে অশোভন আচরণ ও কারাগারে বিশৃঙ্খলার অভিযোগে মঙ্গলবার (৪ মার্চ) বিকেলে তাঁদের রাজশাহী ও নওগাঁ কারাগারে স্থানান্তর করা হয়।
অভিযুক্তরা হলেন জেলা আওয়ামী লীগের তথ্য ও গবেষণা সম্পাদক অ্যাডভোকেট তৌফিক ইমাম খান, জেলা যুবলীগের আহ্বায়ক কমিটির সদস্য শেখ লালু, গয়েশপুর ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান ও আওয়ামী লীগ নেতা মোতাহার হোসেন মুতাই, আসাদুজ্জামান সুইটসহ অন্য আরেকজন।
জেল সুপার মো. ওমর ফারুক জানান, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র হত্যা ও হামলা মামলায় কারাগারে রয়েছেন এসব আসামি। কয়েক দিন ধরেই তাঁরা কারাগারে থাকা অন্য সাধারণ কয়েদিদের সঙ্গে খারাপ আচরণ করছিলেন। ৩ মার্চ বিকেলে এ পাঁচ কয়েদি কারাগারের অন্য কয়েদিদের সঙ্গে একইভাবে খারাপ আচরণ করেন এবং বাগ্বিতণ্ডায় জড়ান। একপর্যায়ে অন্য কয়েদিদের গায়ে হাত তোলেন তাঁরা।
পরে শাস্তিস্বরূপ কয়েদি তৌফিক ইমাম, শেখ লালু ও আসাদুজ্জামান সুইটকে রাজশাহী এবং মুতাই ও অন্যজনকে নওগাঁ জেলা কারাগারে স্থানান্তর করা হয়েছে।
জেল সুপার মো. ওমর ফারুক আরও বলেন, বিগত সময়ে তাঁরা বাইরে যেমন বেপরোয়াভাবে কথাবার্তা বলেছেন ও চলেছেন, কারাগারেও তেমনই বেপরোয়া হয়ে চলছিলেন। ফলে ঝামেলাটা হয়। অন্য কয়েদিদের সঙ্গে অশোভন আচরণ ও কারাগারে বিশৃঙ্খলার অভিযোগে মঙ্গলবার বিকেলে তাঁদের রাজশাহী ও নওগাঁ কারাগারে স্থানান্তর করা হয়েছে।