সাত বছরের কারাভোগ থেকে বাঁচতে সাত বছর পালিয়ে থেকেও শেষ রক্ষা হলো না ফটিকের (৪৫)। অবশেষে গতকাল বৃহস্পতিবার সকালে ঢাকার আশুলিয়া থেকে তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়। আজ শুক্রবার সকালে তাঁকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
গ্রেপ্তারকৃত ফটিক উপজেলার বিশালপুর ইউনিয়নের সিমলা সাতবাড়িয়া গ্রামের বাসিন্দা। তিনি এলাকায় আন্তজেলা ডাকাত দলের সদস্য ও ফটিক ডাকাত নামে পরিচিত।
শেরপুর থানা-পুলিশের উপপরিদর্শক ও মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা সাঈফ আহমেদ বলেন, ফটিক একজন আন্তজেলা ডাকাত দলের সদস্য। ২০০৫ সালে সিরাজগঞ্জের তাড়াশে তিনি ও তাঁর দল একটি বাড়িতে ডাকাতি করেন। এ ঘটনায় তাঁদের বিরুদ্ধে সিরাজগঞ্জে ডাকাতি মামলা হয়। মামলাটি দীর্ঘদিন চলার পর ২০১৬ সালে ডাকাতির সঙ্গে জড়িত থাকা প্রমাণিত হওয়ায় সিত বছরের সশ্রম কারাদণ্ড এবং ১০ হাজার টাকা জরিমানার আদেশ দেন সিরাজগঞ্জ জেলা ও দায়রা জজ আদালত।
শেরপুর থানায় তাঁর গ্রেপ্তারি পরোয়ানা এলে পুলিশ তাকে খুঁজতে থাকে। কিন্তু তাঁর পরিবার ও এলাকাবাসী বলেন, ফটিক বিদেশে থাকেন। অবশেষে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে ফটিকের অবস্থান সম্পর্কে নিশ্চিত হয় পুলিশ। পরে র্যাবের সহযোগিতায় গতকাল বৃহস্পতিবার সকালে তাঁকে ঢাকার আশুলিয়া থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। সেখানে তিনি একটি পোশাক কারখানায় শ্রমিক হিসেবে কাজ করতেন।
ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে শেরপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আতাউর রহমান খোন্দকার বলেন, ‘দীর্ঘ প্রচেষ্টার পর আমরা ফটিককে গ্রেপ্তার করতে পেরেছি। আজ সকালে তাঁকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।’