হোম > সারা দেশ > পাবনা

সাঁথিয়ায় চালু হয়নি মা ও শিশু কেন্দ্র, নষ্ট হচ্ছে মূল্যবান আসবাবপত্র 

প্রতিনিধি, সাঁথিয়া (পাবনা)

পাবনার সাঁথিয়ায় মা ও শিশুদের স্বাস্থ্য সেবা নিশ্চিত করতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা উপজেলায় তিনটি ১০ শয্যা বিশিষ্ট মা ও শিশু কেন্দ্র নির্মাণের উদ্যোগ নেন। যা ২০১৯ সালে নির্মাণ কাজের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন ওই সময়ের স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রী মোহাম্মদ নাসিম। 

পরবর্তীতে গত বছরের শেষের দিকে ঠিকাদার প্রতিষ্ঠান সোনাতলা ও চলতি বছরের মে মাসে কাশিনাথপুরের মা ও শিশু কেন্দ্রটি সংশ্লিষ্ট দপ্তরের কর্মকর্তাদের কাছে হস্তান্তর করেছে ঠিকাদার প্রতিষ্ঠান বদরুল ইকবাল লিমিটেড। কিন্তু উপজেলার কুমিরগাড়ীর কেন্দ্রটি জলাবদ্ধতার কারণে নির্মাণ কাজ এখনো চলমান রয়েছে। 

জানা যায়, প্রতিটি মা ও শিশু কেন্দ্রে চিকিৎসা সেবা নিশ্চিত করতে ২ জন মেডিকেল অফিসার, ৩ জন উপসহকারী কমিউনিটি মেডিকেল অফিসার, ১ জন ফার্মাসিস্ট, ১ জন কম্পিউটার ম্যান, ১ জন আয়াসহ ১৪ জন জনবল থাকবে। এখানে নরমাল ও অস্ত্রোপচারের মাধ্যমে বাচ্চা প্রসব করানো হবে। এ ছাড়া কেন্দ্রগুলোর মাধ্যমে শিশু ও মায়েরা যথাযথ চিকিৎসা সেবা প্রদান করা হবে। কিন্তু নির্মাণাধীন কেন্দ্র দুটি চালু না হওয়ায় গ্রামাঞ্চলের দরিদ্র অসহায় পরিবারের মায়েরা সঠিক ও অল্প খরচে স্বাস্থ্য সেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। সেবা গ্রহণ করতে তাঁদের বিভিন্ন ক্লিনিকে যেতে হচ্ছে। এতে করে গুনতে হচ্ছে অতিরিক্ত অর্থ। শুধু তাই নয়, ভুল চিকিৎসায় অনেক মা ও শিশু অকালে মৃত্যুবরণ করছেন। 

অপরদিকে, কাশিনাথপুর মা ও শিশুকেন্দ্রের কার্যক্রম শুরু না হওয়ায় এরই মধ্যে জানালার গ্রিল কেটে কিছু মালামাল চুরি হয়ে গেছে। এ ছাড়া রক্ষণাবেক্ষণের অভাবে নষ্ট হচ্ছে কেন্দ্রের মূল্যবান আসবাবপত্রসহ দামি জিনিসপত্র।

এ বিষয়ে পাবনা জেলা পরিষদের সদস্য খোরশেদ আলম ও বিশিষ্ট ব্যবসায়ী সাইফুল আলম মিঠুল বলেন, স্থানীয় এমপি অ্যাডভোকেট শামসুল হক টুকু এবং ওই সময়ের স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের সচিব বাবলু কুমার সাহার চেষ্টায় মা ও শিশু কেন্দ্রগুলো নির্মাণ করা হয়। যা পল্লি অঞ্চলের স্বাস্থ্য সেবায় ব্যাপক ভূমিকা রাখবে। 

পাবনা স্বাস্থ্য প্রকৌশলের সহকারী প্রকৌশলী শামসুল আরিফিন বলেন, নির্মাণ কাজ শেষে আমরা সাঁথিয়ার দুটি কেন্দ্র সংশ্লিষ্ট দপ্তরের কর্মকর্তাদের কাছে হস্তান্তর করেছি। 

পাবনার পরিবার পরিকল্পনার উপপরিচালক শামসুল আলম বলেন, সারা দেশে ১৫৯টি মা ও শিশু কেন্দ্র নির্মাণ করা হয়েছে। করোনায় নিয়োগ প্রক্রিয়ার জটিলতার কারণে জনবলের অভাবে এখনো চালু করা সম্ভব হয়নি। 

শিক্ষক নেটওয়ার্ক বন্ধের আহ্বান জানাচ্ছি: রাকসু জিএস আম্মার

রাজশাহী-৫ আসনে জামায়াতের প্রার্থী পরিবর্তন

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়: তহবিলের হিসাব না পেয়ে দৃশ্যত স্থবির রাকসু

রাজশাহীতে র‍্যাবের অভিযানে আগ্নেয়াস্ত্র উদ্ধার

রাজশাহীর চরাঞ্চলে শিয়ালের আতঙ্ক, এক রাতে আক্রান্ত ২০০ গরু

বগুড়ায় বিএনপির মিছিলে হামলার মামলায় শ্রমিক লীগ নেতা গ্রেপ্তার

ওসমান হাদি হত্যার বিচার দাবিতে রাজশাহীতে শিক্ষার্থীদের অবস্থান

সিরাজগঞ্জে লাশবাহী গাড়ির সঙ্গে সিমেন্টবোঝাই ট্রাকের সংঘর্ষ, আহত ২

যুবকের হাত-পা কেটে দেওয়ার অভিযোগ জামায়াত-শিবিরের কর্মীদের বিরুদ্ধে

চিড়িয়াখানা ফাঁকা করে আবার প্রাণ ফেরানোর চেষ্টায় রাসিক