খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার বলেছেন, ‘পয়লা মার্চ থেকে সারা দেশে খাদ্য বান্ধব কর্মসূচি শুরু হচ্ছে। এই কর্মসূচিতে ৫০ লাখ মানুষ ১৫ টাকা কেজি দরে ৩০ কেজি করে চাল পাবেন।’
আজ রোববার সকাল ১০টায় নওগাঁ শহরের আটাপট্টি ও রুবির মোড় এলাকায় চলমান ওএমএস কার্যক্রম পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন মন্ত্রী।
এমএমএস কার্যক্রম কত দিন চলবে এমন প্রশ্নের জবাবে খাদ্যমন্ত্রী বলেন, ‘ওএমএস একটি চলমান কর্মসূচি। যত দিন এর চাহিদা থাকবে তত দিন চলবে। প্রয়োজন হলে সারা বছরই চলবে। চাল দেওয়া হবে, আটাও দেওয়া হবে।’
মন্ত্রী বলেন, ‘কিছুদিন আগেই ধান উঠেছে সাধারণত এ সময়ে ওএমএস বন্ধ থাকে। নিম্ন আয়ের মানুষ যাতে কষ্ট না পায় এ কারণে এটি চালু রাখা হয়েছে। আমরা ওএমএস দিয়ে যাব। আমাদের দেখার বিষয় জনগণ ঠিকঠাক মতো পাচ্ছে কিনা, কোনো ডিলার স্মাগলিং করছে কিনা। এ জন্য পরিদর্শন ও মনিটরিং চলবে।’
সরকারি গুদামে খাদ্য মজুতের অতীতের সব রেকর্ড ছাড়িয়ে গেছে জানিয়ে খাদ্য মন্ত্রী আরও বলেন, ‘১০ লাখ টন নিরাপত্তা মজুতের বিপরীতে বর্তমান ২১ লাখ টনের বেশি মজুত আছে।’
সারা দেশে প্রতিদিন চাল ও আটা মিলিয়ে প্রায় ১৪ থেকে ১৫ হাজার টন খাদ্য বিতরণ করা হচ্ছে বলে জানিয়ে মন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার বলেন, ‘যত দিন মানুষের চাহিদা থাকবে তত দিন ওএমএস কার্যক্রম চালু রাখা হবে। এর পাশাপাশি খাদ্য বান্ধব অন্যান্য কর্মসূচিও চলবে। তাই আতঙ্কের কিছু নেই। দেশে খাদ্যের সংকট হবে না।’
ব্যবসায়ীদের হুঁশিয়ারি দিয়ে মন্ত্রী বলেন, ‘অতি মুনাফার লোভে খাদ্যদ্রব্যে মজুত করে মানুষকে বিপদে ফেলার চেষ্টা করবেন না। নতুন আইন হচ্ছে। ইতিমধ্যে অনেক গ্রুপের বিরুদ্ধে মামলাও করা হয়েছে। নজরদারি বাড়ানো হয়েছে।’
অভিযানে রাজশাহী আঞ্চলিক খাদ্য নিয়ন্ত্রক জিএম ফারুক হোসেন পাটোয়ার, নওগাঁ জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক আলমগীর হোসেনসহ খাদ্য বিভাগের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
এদিকে ওএমএসের চাল নিতে আসা মানুষেরা জানান, চাহিদার তুলনায় বরাদ্দের পরিমাণ কম। বরাদ্দের পরিমাণ বাড়ালে তাঁদের আরও সুবিধা হতো।
সাধারণ মানুষের কথা শুনে মন্ত্রী তাঁদের অসুবিধা বিবেচনার আশ্বাস দেন।