হোম > সারা দেশ > বগুড়া

শেরপুরে সার নীতিমালার প্রয়োগ নেই, বাড়ছে সিন্ডিকেটের দৌরাত্ম্য

রঞ্জন কুমার দে, শেরপুর (বগুড়া) 

ইউনিয়ন পর্যায়ে সুষ্ঠুভাবে সার বিতরণের জন্য প্রনয়ন করা হয় সার ডিলার ও সার বিতরণ সংক্রান্ত সমন্বিত নীতিমালা ২০০৯। সে অনুযায়ী প্রতিটি ইউনিয়নে একজন করে ডিলার ও প্রতিটি ওয়ার্ডে নিয়োগ দেওয়া হবে একজন করে অনুমোদিত খুচরা বিক্রেতা। মূলত তাদের মাধ্যমেই সার পৌঁছাবে কৃষকের হাতে। 

কিন্তু বগুড়ার শেরপুর উপজেলায় নীতিমালা উপেক্ষা করে বিসিআইসির ১২ জন ডিলারের ৬ জনের অবস্থান শেরপুর পৌর শহরে। ইউনিয়নের ওয়ার্ডগুলোর বেশিরভাগেই নিয়োগ করা হয়নি খুচরা বিক্রেতা। এর ফলে আমনের ভরা মৌসুমে সিন্ডিকেটের কবল থেকে রেহাই মিলছে না কৃষকদের। কৃষি অফিস বলছে সারের পর্যাপ্ত সরবরাহের কথা। কিন্তু খুচরা বিক্রেতারা বলছেন, সরকারি রেটে মিলছে না চাহিদা অনুযায়ী ইউরিয়া সার। 

কুসুম্বী ইউনিয়নের বেলঘরিয়া বাজারের ৬ নম্বর ওয়ার্ডের খুচরা বিক্রেতা তোফায়েল আহমেদ বলেন, ‘আমাদের ইউনিয়নের ডিলার শফিকুল ইসলাম শিরু। কিন্তু তাঁর দোকান ও গোডাউন শেরপুর পৌর শহরে। ওনার কাছ থকে আগষ্ট মাসে মাত্র ১৭ বস্তা ইউরিয়া সার পেয়েছি। অথচ আমার প্রতিদিনের চাহিদা ১০ বস্তা। তাই অবৈধভাবে ইউরিয়া কিনে ১৪০০ টাকায় বিক্রি করছি।’ 

ইউনিয়ন পর্যায়ে বাজারগুলোতে অধিকাংশ সার বিক্রেতার বিসিআইসির অনুমোদন নেই। মূলত অবৈধভাবে বেশি দামে সার কিনে থাকেন বলে তারা স্বীকার করেছেন। 

কুসুম্বী ইউনিয়নের বেলঘরিয়া বাজারের জিয়া ট্রেডার্সের মালিক মো. রায়হান বলেন, ‘সরকারি অনুমোদন না থাকায় শেরপুর, নন্দীগ্রাম ও সিরাজগঞ্জের রায়গঞ্জ উপজেলার ডিলারদের কাছ থেকে বেশি দামে সার কিনতে হয়। তাই ১৪০০ টাকার নিচে বিক্রি করা যায় না।’ 

কৃষি অফিস বলছে অনুমোদিত খুচরা বিক্রেতারা সার বিক্রি করতে আগ্রহী না। তাই অনেকে জামানতের টাকা উত্তোলন করেছন। অন্যদিকে কৃষি অফিসে ধরনা দিয়েও অনুমোদন মেলে না বলে জানিয়েছেন ব্যবসায়ীরা। 

কেল্লা বাজাররের সার বিক্রেতা আনোয়ার হোসেন বলেন, ‘আমি দীর্ঘ দিন থেকে সারের ব্যবসা করি। কৃষি অফিসে বহুবার যোগাযোগ করেও খুচরা বিক্রির অনুমতি পাইনি। তাই বেশি দামে সার কিনে বেশি দামেই বিক্রি করছি।’ 

একদিকে সরকারের বরাদ্দের সঙ্গে কৃষকের চাহিদার ব্যাপক পার্থক্যের কারণেই মূলত সারের সংকট তৈরি হচ্ছে বলে মনে করেন অনেক বিক্রেতা। 

বিশালপুর ইউনিয়নের ডিলার শেখ ট্রেডার্সের ম্যনেজার শামীম হোসেন বলেন, ‘আগস্ট মাসে বরাদ্দ অনুযায়ী ৯৭ মেট্রিক টন ইউরিয়া সার বরাদ্দ করা হলেও চাহিদা প্রায় তিনগুন। তাই ঘাটতি মেটাতে অনেকে প্রকাশ্যেই অন্য উপজেলা থেকে অবৈধভাবে সার এনে বেশি দামে বিক্রি করছেন।’ 

এভাবে কৃষকের প্রকৃত চাহিদার বিপরীতে অপ্রতুল বরাদ্দকেই সিন্ডিকেটের কেন্দ্রবিন্দু বলে মনে করছেন কৃষকেরা। শাহবন্দেগী ইউনিয়নের কৃষক সাইফুল ইসলাম বলেন, ‘সারের চাহিদা ঠিক করার সময় কৃষকদের সঙ্গে কোনো আলোচনা করা হয় না। সিন্ডিকেটের যোগসাজসে ইচ্ছে করেই প্রকৃত চাহিদার চেয়ে কম বরাদ্দ করা হয়। তাই বাজারে প্রকাশ্যে ১১০০ টাকার ইউরিয়া ১৫০০ টাকায় বিক্রি করা হলেও কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে না।’ 

নীতিমালা অনুযায়ি ইউনিয়নের ওয়ার্ডগুলোতে অনুমোদিত খুচরা বিক্রেতা হালনাগাদ করা হয়নি বলে স্বীকার করেছেন শেরপুর উপজেলা কৃষি অফিসার মোছা. সারমিন আকতার। তিনি বলেন, ‘উপজেলায় ইউরিয়া সারের কোনো অভাব নেই। সঠিকভাবে চাহিদার নির্ধারণ করা হলেও কৃষকেরা বেশি মাত্রায় সার প্রয়োগ করেন। এ জন্যও কৃত্রিম সংকট তৈরি হয়ে থাকতে পারে।’ 

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. ময়নুল ইসলাম বলেন, ‘কৃষি ফসল ও জমি অনুযায়ি জাতীয়ভাবেই সারের চাহিদা নির্ধারণ করা হয়। সরকার নির্ধারিত দামে সার বিক্রির জন্য আমাদের মনিটরিং অব্যাহত আছে। অনিয়ম পেলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।’ 

দুয়ারেই বিষাক্ত ধোঁয়া দম বন্ধ পড়াশোনা

রাজশাহীতে কৃষক লীগ নেত্রী ও আ.লীগ সমর্থক আইনজীবীর মনোনয়নপত্র দাখিল

খালেদা জিয়ার মৃত্যু: শোকে স্তব্ধ বগুড়াবাসী

কম্বল নিয়ে বিএনপির দুই পক্ষের সংঘর্ষ, আহত ১৩

শিক্ষক নেটওয়ার্ক বন্ধের আহ্বান জানাচ্ছি: রাকসু জিএস আম্মার

রাজশাহী-৫ আসনে জামায়াতের প্রার্থী পরিবর্তন

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়: তহবিলের হিসাব না পেয়ে দৃশ্যত স্থবির রাকসু

রাজশাহীতে র‍্যাবের অভিযানে আগ্নেয়াস্ত্র উদ্ধার

রাজশাহীর চরাঞ্চলে শিয়ালের আতঙ্ক, এক রাতে আক্রান্ত ২০০ গরু

বগুড়ায় বিএনপির মিছিলে হামলার মামলায় শ্রমিক লীগ নেতা গ্রেপ্তার