রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষক-কর্মকর্তারা টানা চতুর্থ দিনের মতো পূর্ণাঙ্গ কর্মবিরতি পালন করছেন। চলমান এই কর্মসূচির প্রতিবাদ জানিয়েছে শাখা ছাত্রশিবির। আজ বুধবার বেলা ১১টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় লাইব্রেরির সামনে আয়োজিত মানববন্ধন থেকে তাঁরা এই প্রতিবাদ জানান।
মানববন্ধন কর্মসূচিতে শাখা ছাত্রশিবিরের সভাপতি মোস্তাকুর রহমান জাহিদ বলেন, ‘তাঁদের ঘোষিত শাটডাউন কর্মসূচি সম্পূর্ণ অযৌক্তিক। বিশ্ববিদ্যালয়ের নির্দিষ্ট কয়েকটি গোষ্ঠীর শিক্ষক দলীয় ব্যানারের আড়ালে এসে রাকসু নির্বাচন ও পুরো বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিবেশ অস্থিতিশীল করার চেষ্টা করছেন।’
তিনি বলেন, ‘তাঁরা ইতিমধ্যে নির্বাচন পেছানোর মতো অপরাজনীতিতে সফল হয়েছেন। নির্বাচন পেছানোই তাঁদের আসল উদ্দেশ্য নয়, মূল লক্ষ্য হলো নির্বাচনকে পুরোপুরি বানচাল করা। এভাবে বারবার তারিখ বদলে শেষে হয়তো ঘোষণা দেবেন, এ বছর রাকসু আর সম্ভব নয়।’
শাখা ছাত্রশিবিরের সাধারণ সম্পাদক মুজাহিদ ফয়সাল বলেন, ‘বিশ্ববিদ্যালয়ে যে অচলাবস্থা তৈরি হয়েছে তা পরিকল্পিতভাবে করা হচ্ছে। নির্দিষ্ট একটি দলের এজেন্ডা বাস্তবায়নের জন্যই বিভিন্ন অজুহাতে বারবার নির্বাচনের তারিখ পেছানো হয়েছে। যাঁরা এই ষড়যন্ত্র করছেন তাঁদের শিক্ষার্থীরা কখনো ক্ষমা করবে না।’ এ সময় শাখা ছাত্রশিবিরের বিভিন্ন পর্যায়ের শতাধিক নেতা-কর্মী উপস্থিত ছিলেন।
এর আগে ‘পোষ্য কোটা’ পুনর্বহালের প্রতিবাদে শনিবার (২০ সেপ্টেম্বর) শিক্ষার্থীদের আন্দোলনে শিক্ষক-শিক্ষার্থী ধস্তাধস্তির ঘটনা ঘটে। পরে আন্দোলনের মুখে সেদিন রাতেই পোষ্য কোটায় ভর্তি কার্যক্রম স্থগিত করে প্রশাসন এবং রোববার সিন্ডিকেটের সভায়ও তা স্থগিত রাখা হয়।
এরপর শিক্ষক লাঞ্ছিতের বিচার এবং পোষ্য কোটা পুনর্বহালের দাবিতে রোববার (২১ সেপ্টেম্বর) রাতে অফিসার্স সমিতি, ট্রেড ইউনিয়ন ও জাতীয়তাবাদী শিক্ষক ফোরাম কমপ্লিট শাটডাউনের ঘোষণা দেয়। গতকাল মঙ্গলবার তৃতীয় দিনের মতো পূর্ণাঙ্গ কর্মবিরতি পালন করেন শিক্ষক-কর্মকর্তারা।