নাটোরের গুরুদাসপুর উপজেলার নাজিরপুরে নন্দকুজা নদী দখল করে ভবন নির্মাণের অভিযোগ উঠেছে প্রভাবশালী এক ব্যাংক কর্মকর্তা ও তার বন্ধু ব্যবসায়ীর বিরুদ্ধে। তাঁরা প্রশাসনের নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে ভবন নির্মাণ কাজ চলমান রেখেছেন।
সরেজমিন ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, নাজিরপুর বাজারের পূর্বপাশে বাঁশ ও কলা বাজারের পাশে নন্দকুজা নদী দখল করে স্থায়ী পাকা ভবন নির্মাণ করছেন স্থানীয় অগ্রণী ব্যাংক কর্মকর্তা বেলাল হোসেন ও তাঁর বন্ধু ব্যবসায়ী জহির রায়হান।
ব্যাংক কর্মকর্তা বেলাল হোসেন জানান, ২০২০ সালের ৬ অক্টোবর স্থানীয় মমতাজ বেগম ও তাঁর ৫ বোনের নিকট থেকে নাজিরপুর মৌজার ৮.২৫ শতাংশ জমি ক্রয় করেন। যার দাগ নম্বর ১৭৬। বেলাল তার স্ত্রী নুর মোস্তাকিমা খাতুন ও জহির রায়হান তার স্ত্রী রুমা বেগমের নামে রেজিষ্ট্রি করেছেন। তবে ভবন নির্মাণ কাজের তদারকি করছেন তাঁরা।
তিনি বলেন, আমার কেনা জমিতে আমি পাকা ঘর নির্মাণ করেছি। নদী দখল করি নাই। তাই এই বিষয়ে আমি আর কথা বলতে চাচ্ছি না।
নাজিরপুর ইউনিয়ন ভূমি সহকারী কর্মকর্তা গোপাল কুমার সিংহ জানান, অভিযোগের প্রেক্ষিতে তিনি নিজে উপস্থিত থেকে সার্ভেয়ারের মাধ্যমে জমি পরিমাপ শেষে সীমানা নির্ধারণ করে দিয়েছিলেন। কেউ আইন অমান্য করে দখল কাজে জড়িত থাকলে সে দায় তাঁর। তবে তাঁদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া জন্য সহকারী কমিশনারকে চিঠি পাঠানো হয়েছে।
নাজিরপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান শওকত রানা লাবু জানান, পরিষদের পক্ষ থেকে স্থাপনা নির্মাণ কাজ বন্ধ রাখতে বলা হলেও তাঁরা অমান্য করে চলমান রেখেছেন। সচেতন মানুষদের নদী দখলের মতো এমন কাজে তিনি বিস্মিত।
উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) আবু রাসেল বলেন, অভিযোগের প্রেক্ষিতে নদীর সীমানা ভেঙে ফেলার জন্য প্রাথমিক ভাবে বেলাল হোসেনকে চিঠি দেওয়া হয়েছে। তিনি নিজে দখলকৃত নদীর জায়গা ভেঙে না ফেললে প্রশাসনিক ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এ বিষয়ে জেলা প্রশাসক স্যারকে চিঠি দিয়ে জানানো হয়েছে।