গরমে অতিষ্ঠ পাবনার জনজীবন। কয়েক সপ্তাহ ধরে জেলার ওপর দিয়ে বয়ে যাচ্ছে তীব্র থেকে অতি তীব্রমাত্রার দাবদাহ। দুই দিনের ব্যবধানে আজ সোমবার ঈশ্বরদীতে মৌসুমের সর্বোচ্চ ৪২ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়। বাতাসের আর্দ্রতা ছিল ১২ শতাংশ। এর আগে শুক্রবার (২৬ এপ্রিল) রেকর্ড করা হয়েছিল ৪২ দশমিক ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
ঈশ্বরদী আবহাওয়া অফিসের সহকারী পর্যবেক্ষক নাজমুল হক রঞ্জন বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘ঈশ্বরদীতে ৪২ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে। এটিই চলতি মৌসুমে পাবনায় সর্বোচ্চ। এ তাপমাত্রা আরও বাড়ার শঙ্কা রয়েছে। সেই সঙ্গে জেলায় অতি তীব্র তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে।’
এদিকে অসহনীয় দাবদাহে জনজীবন বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে। বিশেষ করে দিনমজুরদের অবস্থা শোচনীয়। এ ছাড়া আম, লিচুসহ ফসলেও ব্যাপক প্রভাব পড়েছে দাবদাহের। হাসপাতালগুলোতে ডায়রিয়া, জ্বর ও সর্দিজনিত রোগীর সংখ্যা বাড়ছে।
পাবনা সদর জেনারেল হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসক জাহিদুল ইসলাম আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘প্রচণ্ড ভ্যাপসা গরমে শিশু-বয়স্করা বেশি রোগাক্রান্ত হচ্ছে। ২৪ ঘণ্টায় ডায়রিয়ায় ৪০ জন আক্রান্ত রোগী ভর্তি হয়েছে।’
আবাসিক চিকিৎসক আরও বলেন, ‘হাসপাতালে প্রচুর রোগীর চাপ সামলাতে হিমশিম খেতে হচ্ছে।’ গরমের হাত থেকে বাঁচতে ছায়া ও শীতল স্থানে থাকা, বেশি বেশি পানি পান করা, রোদে বের হলে ছাতা ব্যবহার করার পরামর্শ দেন তিনি।
পাবনা জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক ড. জামাল উদ্দিন আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘প্রচণ্ড গরমে আম ও লিচুর গুটি ঝরে পড়ছে। তাই গাছের গোড়ায় বেশি করে সেচ দেওয়া ও ফলের গুটিতে পানির স্প্রে দেওয়া দরকার। কোনো কীটনাশক ব্যবহার করা যাবে না।’